সোনার গ্লাভসের মতো এ বার বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে তা যৌনাঙ্গের সামনে ধরে একই রকম অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় মার্তিনেসকে। — ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ জয়ের পর বৃহস্পতিবার রাতে দেশের মাটিতে প্রথম বার খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। সেখানেই ফিরল কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই রাত এবং এমিলিয়ানো মার্তিনেসের বিতর্কিত আচরণ। সোনার গ্লাভস জেতার পর যৌনাঙ্গের সামনে তা ধরে অশ্লীল ভাবে প্রদর্শন করেছিলেন মার্তিনেস। বৃহস্পতিবার রাতে সেই একই ভাবে উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেল আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের।
বুয়েনোস আইরেসে পানামার বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে ২-০ জিতেছে আর্জেন্টিনা। গোল করেন লিয়োনেল মেসি এবং থিয়াগো আলমাদা। ম্যাচের শেষে সব ফুটবলারই তাঁদের পরিবারকে মাঠে ডেকে নেন। প্রত্যেকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন মাঠে। প্রত্যেকের সামনেই রাখা ছিল বিশ্বকাপের রেপ্লিকা।
সেই বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে তা যৌনাঙ্গের সামনে ধরে একই রকম অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় মার্তিনেসকে। তবে এ বার তিনি একা ছিলেন না। গুইদো রদ্রিগেস, জেরোনিমো রুলি, জারমান পেজেয়া, মার্কোস আকুনার মতো ফুটবলারদের দেখা যায় মার্তিনেসের সঙ্গে যোগ দিতে। যদিও মেসি সেই উচ্ছ্বাসে যোগ দেননি। তিনি ট্রফি নিয়ে এক পাশে পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন।
বিশ্বকাপের পরে সাক্ষাৎকারে মার্তিনেস একাধিক বার বলেছেন, ফাইনালের রাতে তাঁর সেই আচরণ খুবই ভুল ছিল। এটি তাঁর আক্ষেপের একটি কারণ। দেখা গেল, সেই ভুল থেকে একদমই শিক্ষা নেননি তিনি। আবার একই কাজ করতে দেখা গেল তাঁকে। সমাজমাধ্যমে আবারও সমালোচিত হয়েছে আর্জেন্টিনা। অনেকেই তাদের আচরণকে ‘অবমাননাকর’, ‘রুচিহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
শুধু আচরণই নয়, ফাইনালে পরাজিত দেশ ফ্রান্সকেও কটাক্ষ করা হয়েছে একটি গানের মাধ্যমে। সেই গানে জুড়ে গিয়েছে চিরশত্রু ব্রাজিলও। সেই গানে যোগ দিয়েছেন মেসিও। দলের বাকি ফুটবলারদের সঙ্গে গান করেছেন তিনি। গানের কথায় ছিল, ‘ফ্রান্সের জন্য এক মিনিটের নীরবতা পালন করো। ওরা মারা গিয়েছে।’ সেই গানে পড়শি দেশ ব্রাজিলকেও কটাক্ষ করা হয়েছে।