আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের সঙ্গে মাঠেই ঝগড়া রাফিনহার (একেবারে বাঁ দিকে)। ছবি: রয়টার্স।
খেলার আগে আর্জেন্টিনাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাফিনহা। বলেছিলেন, শুধু মাঠের মধ্যে নয়, মাঠের বাইরেও আর্জেন্টিনাকে হারাবেন। রাফিনহার সেই কথা ভাল ভাবে নেননি আর্জেন্টিনার ফুটবলারেরা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের রাফিনহাকে নিশানা করেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারেরা।
ম্যাচের আগে রাফিনহা বলেছিলেন, “আমরা আর্জেন্টিনাকে হারাব। সত্যি ওদের হারাব। শুধু মাঠের মধ্যে নয়, মাঠের বাইরেও হারাব। আমি তো গোল করবই। মাঠে নিজের সেরাটা দেব।” হুঙ্কার দিলেও মাঠে নেমে বিশেষ কিছু করতে পারেননি রাফিনহা। শুধু তিনি নন, ব্রাজিলের পুরো দল কিছু করতে পারেনি। আর্জেন্টিনা ছেলেখেলা করে তাদের হারিয়েছে। ম্যাচের মধ্যে রাফিনহা মাথা গরম করেন। বেশ কয়েক বার আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় তাঁর। ম্যাচ শেষেও আর্জেন্টিনার গোলরক্ষর এমিলিয়ানো মার্তিনেসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। সেই ঝামেলা জড়ায় টানেলেও।
ম্যাচ জিতে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দল হিসাবে এই কীর্তি করেছে তারা। লিয়োনেল মেসিকে ছাড়াই জিতেছে গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। খেলা শেষে আর্জেন্টিনার এক গোলদাতা এঞ্জো ফের্নান্দেস বলেন, “আমার মনে হয় মুখ বন্ধ করে কঠিন পরিশ্রম করা উচিত। আমরা সেটাই করেছি। ওদের একটা শিক্ষা দিয়েছি। মেসি মাঠে থাকলে হয়তো আরও দু’তিনটে গোল করতাম।”
ফের্নান্দেসের সতীর্থ রদ্রিগো ডি’পলের দাবি, গত কয়েক বছরে আর্জেন্টিনা বিশ্বের সেরা ফুটবল দল। তিনি বলেন, “আমরা আগে থেকে কোনও দিন কাউকে অসম্মান করিনি। কিন্তু আমরা অসম্মানিত হয়েছি। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যা অর্জন করেছি, নিজেদের যোগ্যতাই করেছি। প্রতিদিন আরও উন্নতি করছি। নিঃসন্দেহে গত ছ’বছরে আমরা বিশ্বের সেরা ফুটবল দল।”
আর্জেন্টিনার ফুটবলার লিয়ো পারেদেস আবার মনে করেন, ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি হয়। রাফিনহা সেটাই করেছেন। তিনি বলেন, “আগে থেকে এত বড় বড় কথা বলা উচিত নয়। বিশেষ করে যখন মাঠে নেমে কিছুই করতে পারবে না। আমরা মাঠে নেমে করে দেখাই।”
দলের খেলার সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়রও। তিনি মনে করেন, এ বার ভাবনা-চিন্তা করার সময় এসেছে। কারণ, বিশ্বকাপের আর বেশি বাকি নেই। তিনি বলেন, “আমরা খুব খারাপ খেলেছি। আর্জেন্টিনা দারুণ খেলেছে। আমাদের ভাবার সময় এসেছে। বিশ্বকাপ আর এক বছর পরে। আমি আগেও একটা বিশ্বকাপ খেলেছি। আর একটা বিশ্বকাপে আমি ব্যর্থ হতে চাই না। আমাদের বসতে হবে। ভাবতে হবে কোথাই ভুল হয়েছে। ভুল স্বীকার করতে হবে। তার পর সেটা শুধরে নিতে হবে।”