লিয়োনেল মেসি। —ফাইল চিত্র।
বর্ণবিদ্বেষে অভিযুক্ত লিয়োনেল মেসিরা। কোপা আমেরিকা জয়ের পর বিতর্কে জড়ালেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারেরা। বিশ্বজয়ীদের ‘কুকীর্তি’ ধরা পড়েছে এনজ়ো ফার্নান্ডেজ়ের করা ভিডিয়োয়। স্টেডিয়াম থেকে হোটেলে ফেরার বাসে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের উৎসবের ভিডিয়োই জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের সমর্থকদের মধ্যে রেষারেষি, বাগ্যুদ্ধ পৌঁছেছিল চরম পর্যায়। সে সময় দু’দেশের সমর্থকদের একাশের বিরুদ্ধে উঠেছিল বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ। এ বার সেই একই অভিযোগে অভিযুক্ত মেসির সতীর্থেরা।
কলম্বিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড ১৬ বার কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ জয়ের পর কোপার খেতাব ধরে রাখতে পারায় উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের। স্টেডিয়ামের পর হোটেলের ফেরার বাসেও উৎসবে মেতেছিলেন তাঁরা। উৎসবের সেই মূহূর্তে মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করছিলেন ফার্নান্ডেজ়। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, ফুটবলারেরা একটি স্প্যানিশ গান গাইছেন। গানের পর হঠাৎ কয়েক জনের গলায় শোনা যায় বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য। গত বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের একাংশ ফরাসিদের যে ভাবে বিদ্রুপ করতেন, তেমনই শব্দ শোনা গিয়েছে। যার অর্থ, ফ্রান্সের জাতীয় দলের সব ফুটবলারই আসলে অ্যাঙ্গোলার। তাদের বাবা-মায়েরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। কেউ ফরাসি নন। আরও শোনা গিয়েছে কোনও এক সতীর্থ তখন ফার্নান্ডেজ়কে ভিডিয়ো বন্ধ করতে বলেন। ফার্নান্ডেজ়ও সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেন।
ভিডিয়োর শেষ দিকের অংশ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে বিশ্বজয়ীদের তীব্র নিন্দা করেছেন ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ। আর্জেন্টিনা দল বা ফুটবল সংস্থা এ নিয়ে মুখ খোলেনি।