মেসির নেতৃত্বে খেলার অভিজ্ঞতার কথা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। এ বার জানালেন প্রথম বার মেসির সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা। —ফাইল চিত্র
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন লিয়োনেল মেসি। তাঁর নেতৃত্বে খেলার অভিজ্ঞতার কথা আগেই জানিয়েছিলেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। এ বার তিনি জানালেন প্রথম বার মেসির সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা। অ্যালিস্টার জানিয়েছেন যে, তিনি কাঁপছিলেন মেসির সঙ্গে প্রথম বার দেখা হওয়ার সময়।
এ বারের বিশ্বকাপে মেসি এবং অ্যালিস্টার একসঙ্গে খেলেছেন এবং বিশ্বকাপ জিতেছেন। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটি খেলেননি অ্যালিস্টার। পরের সব ম্যাচেই খেলেন তিনি। মেসির সঙ্গে প্রথম বার দেখা হওয়ার কথা বলতে গিয়ে অ্যালিস্টার বলেন, “আমি খুব নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। হাত কাঁপছিল। আমি খুব অন্তর্মুখী একজন মানুষ। মেসিকে প্রথম বার দেখে কেমন একটা অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম।”
মেসির সঙ্গে ২৪ বছরের অ্যালিস্টারের দেখা হয়েছিল স্পেনে। অ্যালিস্টার বলেন, “মেসি খুবই মাটির মানুষ। সেই সময় আমি খেলতাম বোকা জুনিয়র্সের হয়ে। আমি আর্জেন্টিনা থেকে গিয়েছিলাম স্পেনে। একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার জন্য। মেসি সে দেশেই ছিল। আমি যে সময় হোটেলে ঢুকি, মেসি তখন রাতের খাবার খাচ্ছে। টেবিলের কাছে যাই ওর সঙ্গে হাত মেলাতে। কিন্তু আমার হাত ঘেমে গিয়েছে। কাঁপছিল হাত। কিন্তু মুহূর্তটা দারুণ। আমি ওকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। ও বিশ্বের সেরা ফুটবলার।”
এর পর যদিও তাঁদের বন্ধুত্ব বেড়ে যায়। এমন কি অ্যালিস্টারের জন্য বাকি সতীর্থদের বিরুদ্ধেও যান মেসি। অ্যালিস্টার বলেন, “আমাকে সকলে কোলো বলে ডাকত। আর্জেন্টিনায় এটার অর্থ আদা। আমার পছন্দ ছিল না এমন নাম। মেসি সকলকে বলেছিল যে, “ও পছন্দ করছে না এই নামে ডাকা। কেউ এই নামে ডাকবে না।”
এর আগে অ্যালিস্টার জানিয়েছিলেন সৌদি ম্যাচের পরে আর্জেন্টিনার সাজঘরে কেমন পরিস্থিতি ছিল। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে মেসি পেনাল্টি ফস্কান। অ্যালিস্টার বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল, জিততেই হবে। তাই মেসির পেনাল্টি নষ্টের পরেও দলের কেউ হতাশ হয়নি। মেসি সবাইকে এসে বলে, ‘ভেঙে পড়ার কিছু হয়নি। এখনও অনেক সময় আছে। আমি পারিনি, তোমরা গোল করবে।’ মেসির এই কথায় দলের সবাই আরও আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেছিল। তারই ফল পেয়েছি।”
এ বারেই প্রথম বিশ্বকাপ খেললেন অ্যালিস্টার। নেমে গোলও করেন। সেই অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন অ্যালিস্টার। তিনি বলেন, “আমার কাছে খুব আবেগের মুহূর্ত ছিল। দলের প্রথম গোলটা দরকার ছিল। সেটা আমি করেছি। এর থেকে ভাল অভিষেক বিশ্বকাপে আর কী হতে পারে!”