মার্তিনেসের আচরণ নিয়ে মুখ খুললেন আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি। ফাইল ছবি।
কাতার বিশ্বকাপে একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বিশেষ করে ফাইনালের পর সেরা গোলরক্ষকের ট্রফি নিয়ে বিতর্কিত ভঙ্গি এবং আর্জেন্টিনায় ফিরে কিলিয়ন এমবাপেকে কটাক্ষ করে তীব্র সমালোচিত হন তিনি। তাঁর সেই সব আচরণ নিয়ে মুখ খুললেন আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি।
আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন মার্তিনেস। তাঁর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। একই সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মার্তিনেসের আচরণ নিয়েও। তাঁর সেই আচরণকে ‘শিশুসুলভ’ বলে মন্তব্য করেছেন স্কালোনি।
আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল মেসির প্রিয় দিবুর পাশেই দাঁড়ালেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মার্তিনেসের আচরণে হয়তো অনেকেই খুশি হবেন না। ও কিন্তু দুর্দান্ত ছেলে। ও অনেকটা বাচ্চাদের মতো। ও কতটা ভাল ছেলে, সেটা জানলে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। ওকে ভাল করে চেনা দরকার।’’ একটি সাক্ষাৎকারে মেসিদের হেডস্যর আরও বলেছেন, ‘‘মার্তিনেস এমন একটা আবিষ্কার, যেটা আমাদের প্রচুর আনন্দ দিয়েছে। ওর আলাদা ব্যক্তিত্ব রয়েছে। সেই ব্যক্তিত্বও আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। যদিও ওর দৃষ্টিভঙ্গি একদম বাচ্চাদের মতো।’’ যদিও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ফাইনালে প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন মার্তিনেসও।
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর মূলত মার্তিনেসের বিতর্কিত আচরণের জন্যই আর্জেন্টিনাকে ফিফার তদন্তের সামনে পড়তে হয়েছে। আপত্তিকর আচরণ এবং ফেয়ার প্লে বিঘ্নিত করার চেষ্টা ছাড়াও খেলোয়াড়, কর্তাদের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বিশ্বকাপ জয়ীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণ হলে আর্জেন্টিনাকে কড়া শাস্তি দিতে পারে ফিফা। যার জন্য অনেকটাই দায়ী থাকবেন মার্তিনেস। তবু দলের এক নম্বর গোলরক্ষকের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন স্কালোনি।
শুধু ফাইনালে নয়। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পরেও মেসি, মার্তিনেসদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এই সব কিছুই রয়েছে ফিফার নজরে। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ফাইনালে জয়ের আনন্দে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার সভাপতি সরাসরি চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার সভাপতিকেও। মার্তিনেস অবশ্য কখনই নিজের আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেননি। উল্লেখ্য, মার্তিনেসের পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাও।