লাউতারো মার্তিনেজ। ছবি: এক্স (টুইটার)।
কোপা আমেরিকায় গ্রুপের শেষ ম্যাচেও জয় পেল আর্জেন্টিনা। লিয়োনেল মেসিহীন আর্জেন্টিনা ২-০ ব্যবধানে হারাল পেরুকে। প্রথমার্ধ গোল শূন্য অবস্থায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পক্ষে জোড়া গোল করেন লাউতারো মার্তিনেস।
চোটের জন্য পেরুর বিরুদ্ধে খেলেননি মেসি। প্রথম দু’ম্যাচেও গোল পাননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এই প্রথম কোনও প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে গোল করতে পারলেন না তিনি। একই সঙ্গে প্রথম বার কোনও প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে গোল পাননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ইউরো কাপের গ্রুপ পর্বে এ বার গোল নেই পর্তুগাল অধিনায়কেরও।
মেসির মাঠে না থাকা অবশ্য আর্জেন্টিনাকে সমস্যা ফেলতে পারেনি। বরং মেসিহীন আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পেরু শুরু থেকেই চাপে ছিল। পেরুর গোলরক্ষক গ্যালিসকে প্রথমার্ধের নায়ক বলা যেতেই পারে। অন্তত চার বার দলের নিশ্চিত পতন আটকেছেন তিনি। শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল শুরু করেন আঙ্খেল ডি মারিয়ারা। একের পর এক আক্রমণে পেরুর রক্ষণকে ব্যস্ত রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারেরা। ১২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নেরা। ডি মারিয়ার কর্নার থেকে গোল করার সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন ওটামেন্ডি। তাঁর শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। অধিকাংশ সময়ই খেলা হয়েছে পেরুর অর্ধে। পেরুর প্রায় সব ফুটবলারই রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত ছিলেন। তার মধ্যেই ২১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে সুযোগ তৈরি করেছিল পেরু। তবে গোল হয়নি।
২২ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস পেরুর বক্সে বল পান ডি মারিয়ার কাছ থেকে। তাঁর শট আটকে দেন গ্যালিস। যদিও গোল হলেও পেত না আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোর রেফারি জানিয়ে দেন মার্তিনেজ অফসাইডে ছিলেন। ২৬ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে আরও এক বার হতাশ করেন গ্যালিস। পেরেদেসের শট আটকে দেন তিনি। ৪৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন পেরুর গোলরক্ষক। ডি মারিয়ার কাছ থেকে পেরুর বক্সের ডান দিকে বল পান মন্টিয়েল। তিনি পাস দেন লো সেলসোকে। তাঁর শট আটকে দেন গ্যালিস। ফিরতি বলে গারনাচোর শট বারের উপর দিয়ে চয়ে যায়।
গোল না পেলেও বলের দখল মূলত নিজেদের পায়েই রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারেরা। গোলশূন্য ভাবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার পর ফ্লরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বৃদ্ধি করেন লিয়োনেল স্কালোনির ফুটলারেরা। ৪৭ মিনিটে তার ফল পান তাঁরা। ডি মারিরার থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে দলকে এগিয়ে দেন মার্তিনেস। পেরুর এক ফুটবলার বক্সের মধ্যে হ্যান্ড বল করলে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পেরেদেস। দ্বিতীয় গোলের জন্য আর্জেন্টিনাকে অপেক্ষা করতে হয় ৮৬ মিনিট পর্যন্ত। মার্তিনেসই দলের এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। প্রতিযোগিতায় তাঁর চারটি গোল হয়ে গেল। আর কোনও গোল হয়নি ম্যাচে। গ্রুপের তিনটি ম্যাচই জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছল আর্জেন্টিনা।