এমিলিয়ানো মার্তিনেস। —ফাইল চিত্র।
আর্জেন্টিনা ১ (৪)
ইকুয়েডর ১ (২)
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক না থাকলে হয়তো কাতারে বিশ্বকাপ জেতাই হত না লিয়োনেল মেসির। শুক্রবার সকালেও কোপা আমেরিকায় নায়ক সেই মার্তিনেস। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে তিনিই জেতালেন দলকে।
মেসি টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। সেই ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন মার্তিনেস। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। কোপার নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলার পর সোজা টাইব্রেকার হয়। সেখানে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শট নিতে গিয়েছিলেন মেসি। বল লাগে বারে। গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। ইউরোয় টাইব্রেকারে গোল করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কিন্তু মেসি পারেননি। তাতে যদিও দলের জয় আটকায়নি। টাইব্রেকারে ইকুয়েডরের প্রথম দু’টি শট আটকে দেন মার্তিনেস। তাতেই সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করে নেয় মেসির দল।
ম্যাচে ৩৪ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে ছিলেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। সেই বল পেয়ে যান ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেস। হেডেই গোল করেন তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
গোল শোধ করার সহজতম সুযোগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল হাতে লাগে আর্জেন্টিনার রদ্রিগো ডি পলের। পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। কিন্তু এনার ভ্যালেন্সিয়ার মারা বল লাগে পোস্টে। ফিরতি বলেও গোল করতে পারেনি ইকুয়েডর।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিতেই সেমিফাইনালে ওঠার পথে ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ৯০ মিনিটের মাথায় গোল করেন ইকুয়েডরের কেভিন রদ্রিগেজ। জন ইবোয়ার ক্রস উড়ে আসে বক্সে। সেই বলে মাথা ছোঁয়ান রদ্রিগেজ। বল জালে জড়িয়ে যায়। আর্জেন্টিনার ফুটবলারেরা অফসাইডের দাবি করলেও রেফারি তা নাকচ করে দেন।
গোটা ম্যাচে মেসি সে ভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। টাইব্রেকারেও গোল করতে ব্যর্থ হন। তবে মেসি গোল করতে না পারলেও টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন হুলিয়ান আলভারেস, অ্যালিস্টার, গঞ্জালো মনটিয়েল এবং নিকোলাস ওটামেন্ডি।
সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। সেখানে তাদের খেলতে হবে ভেনেজুয়েলা এবং কানাডা ম্যাচের জয়ীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে হবে সেই ম্যাচ। আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল ১০ জুলাই।