এআইএফএফের সিদ্ধান্ত খুশি করতে পারে সুনীল ছেত্রীদের। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ফুটবলে রেফারিং নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এ বারের আইএসএলে একাধিক ম্যাচে প্রশ্ন উঠেছে রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে। রেফারিং প্রভাব ফেলেছে ম্যাচের ফলাফলেও। পরিস্থিতি সামলাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সভাপতি কল্যাণ চৌবেকেও। রেফারিং নিয়ে বিতর্ক চলার মধ্যেই আশার কথা শুনিয়েছেন ফেডারেশন সভাপতি। এ বার ভারতীয় ফুটবলেও চালু হতে পারে ‘ভিএআর’ (ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি)।
কয়েক বছর আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ‘ভিএআর’ নিয়ে এসেছে ফিফা। ফুটবল উন্নত দেশগুলির ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলিতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন কোণ থেকে ম্যাচের মুহূর্তের ভিডিয়ো পর্যালোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে পারছেন রেফারিরা। তাঁদের মনে কোনও সংশয় থাকলেই ‘ভিএআর’ দেখার সুযোগ পান। অনেকটা তেমনই সুযোগ এ বার পেতে পারেন ভারতীয় রেফারিরাও। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তাঁরা।
ভারতীয় ফুটবলে অনেকটা ‘ভিএআর’-র মতো অ্যাডিশনাল ভিডিয়ো রিভিউ সিস্টেম বা ‘এভিআরএস’ প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছে এআইএফএফ। ফেডারেশন সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ম্যাচে রেফারিদের ভুলের পরিমাণ কমানো। রেফারিরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য পেলে, তা সম্ভব হবে। আগামী দিনে আমাদের ‘ভিএআর’ ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার আগে আমাদের মতো দেশে ‘এভিআরএস’ ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে। প্রযুক্তি ভুলের পরিমাণ কমাতে পারছে কি না, সেটা আগে দেখতে হবে। ফুটবলার, কোচ এবং ক্লাব কর্তাদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’’ ‘ভিএআর’ ব্যবহারের খরচ অনেক। এখনই তা বহন করা ফেডারেশনের পক্ষে কঠিন। তাই প্রথমে তুলনায় কম খরচের ‘এভিআরএস’ ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠানো তৈরির জন্য ফিফার সহযোগিতাও চেয়েছে এআইএফএফ।
আইএসএলের একাধিক ম্যাচের রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন এবং বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ফেডারেশন সভাপতি। রেফারিদের নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার কথা বলেছিলেন চৌবে। রেফারিদের আরও শিক্ষিত হওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।