ভারতীয় ফুটবলে সই জালের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি
অন্যের সই জাল করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে ভালাঙ্কা আলেমাওয়ের বিরুদ্ধে। তাঁর মনোনয়ন বাতিলও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চার্চিল আলেমাওয়ের মেয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ভালাঙ্কার মনোনয়নে দমন ও দিউয়ের প্রতিনিধি অমিত খেমানি এবং চণ্ডিগড়ের প্রতিনিধি হরজিন্দর সিংহের সই না কি নকল করা হয়েছে। এই দু’জনই না কি রিটার্নিং অফিসারকে বলেছেন, তাঁরা কোনও মনোনয়ন পত্রে সই করেননি। তা হলে গোয়ার গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়া ভালাঙ্কার মনোনয়ন পত্রে সই করলেন কারা? যে দু’টি সই রয়েছে, সেই দু’টি কি তবে নকল করা হয়েছে?
গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য জোনাথন ডিসুজা প্রথম অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, খেমানি গত ১৬ অগস্ট থেকে দেশে নেই। তা হলে তিনি কী করে ভালাঙ্কার মনোনয়ন সই করলেন? অভিযোগ পেয়ে রিটার্নিং অফিসার প্রত্যেক স্বাক্ষরকারীকে (যাঁরা বিভিন্ন প্রার্থীর মনোনয়নকে সমর্থন করেছেন) ইমেল করে জানতে চান, তিনি সই করেছেন কি না। রবিবার সকাল ১১টার মধ্যে সবাইকে জবাব দিতে বলা হয়। খেমানি এবং হরজিন্দর দু’জনেই সইয়ের কথা অস্বীকার করেন বলে খবর।
এই অভিযোগের জবাবে একটি সংবাদমাধ্যমকে ভালাঙ্কা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি। সব রাজ্য সংস্থাগুলিই পরস্পরের পাশে আছে। আমরা সবাই সবার হয়ে ফর্মে সই করছি। আমি সভাপতি পদে দু’টি মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। সেগুলো রিটার্নিং অফিসার বাতিল করে দিয়েছেন কারণ, সেখানে এমন দু’জনের সই ছিল, যাঁরা আগেই অন্য কারোর মনোনয়নে সই করেছেন।’’
সভাপতি পদে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ার ফলে ভালাঙ্কা এখন শুধু কোষাধ্যক্ষ এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য পদের জন্য ফেডারেশনের নির্বাচনে লড়তে পারবেন।
আরও চারজনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে। এঁরা হলেন ইউজেনসন লিংডো (সভাপতি), মানবেন্দ্র সিংহ (সভাপতি), দীপক শর্মা (সদস্য), মহম্মদ শাহিদ (সদস্য)। প্রাক্তন মিডফিল্ডার এবং মেঘালয়ের ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিধায়ক লিংডোর মনোনয়নও ভালাঙ্কার মতোই একই কারণে বাতিল হয়েছে। তাঁর মনোনয়ন সমর্থন করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের আরিফ আলি। তিনি সিকিমের মেনলা এহতেনপার মনোনয়নপত্রেও সই করেছেন। হিমাচল প্রদেশের দীপক শর্মার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।