লিয়োনেল মেসি। —ফাইল চিত্র
প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে চিনে গিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু বেজিং বিমানবন্দরে নামার পরেই আটক করা হয় মেসিকে। তার পরেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করেন মেসি। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তাইওয়ান কি চিন নয়?’’ কিন্তু কেন এই প্রশ্ন করেন লিয়ো!
১৫ জুন বেজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচ রয়েছে আর্জেন্টিনার। সেই ম্যাচ খেলতে মেসি ১০ জুন বেজিং বিমানবন্দরে নামেন। সেখানেই চিনের সীমান্ত পুলিশ তাঁকে আটক করে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, মেসি আর্জেন্টিনার পাসপোর্টের বদলে স্পেনের পাসপোর্ট নিয়ে চিনে নেমেছিলেন। সেই পাসপোর্ট থাকলে তাইওয়ানে যাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে চিনে থাকার ভিসা ছিল না। মেসি ভেবেছিলেন, তাইওয়ানে যেতে পারলে তিনি চিনেও যেতে পারবেন। সেই কারণে তাঁকে আটক করার পরে মেসি প্রশ্ন করেন, যে তাইওয়ান কি চিন নয়!
যদিও বেশি ক্ষণ আটক থাকতে হয়নি মেসিকে। ৩০ মিনিট পর সমস্যার সমাধান হয়। তার পরেই মেসি বিমানবন্দরে ছাড়েন।
চিন দাবি করে যে তাইওয়ান আলাদা কোনও দেশ নয়। তাদেরই অংশ। কিন্তু চিনের সেই দাবি মানতে নারাজ তাইওয়ান। বিশ্বের খুব কম দেশই তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়। ভারতের সঙ্গেও তাদের সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এমনকি, তাইওয়ান রাষ্ট্রপুঞ্জেরও স্বীকৃতি দেশ নয়। তাইওয়ান নিজেদের দেশকে ‘রিপাবলিক অফ চিন’ বলে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তারা খেলে ‘চাইনিজ তাইপেই’ নামে। কিন্তু তাইওয়ানের এই দাবি আবার মানে না চিন।
সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মেসির হাতে একটি পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি সতীর্থ ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে চিনের পুলিশবাহিনী। মেসি আর্জেন্টিনার পাসপোর্ট আনতে ভুলে গিয়েছিলেন। সেই পাসপোর্টেই চিনের ভিসা ছিল। তাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা ধন্দে পড়ে যান। কিছু ক্ষণ পরে তাঁকে এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হয়। তারপরে বিমানবন্দর ছেড়ে বেরোন মেসি।
১৫ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার পর আর্জেন্টিনা খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে। ১৯ জুন সেই ম্যাচ হওয়ার কথা জাকার্তায়।