Roger Milla

Africa Cup of Natuions: রজার মিল্লার দেশে আজ থেকে পরীক্ষা সালাহদের

১৯৭২ সালের পর এই প্রথম আফ্রিকার ফুটবলের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ আয়োজনের ডাক পেয়েছে ক্যামেরুন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:৫০
Share:

ফুরফুরে: সতীর্থদের নিয়ে বিমানে মহম্মদ সালাহ (ডানদিকে)। টুইটার

করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে দু’বার প্রতিযোগিতার স্থান পরিবর্তন হয়েছে। অবশেষে করোনার যাবতীয় আতঙ্ক পিছনে ফেলেই আজ, রবিবার থেকে ক্যামেরুনে শুরু হতে চলেছে আফ্রিকা কাপ অব নেশনস।

Advertisement

এই মঞ্চে আফ্রিকা মহাদেশের ফুটবলে নিজেদের দেশের ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে দ্বৈরথে অবতীর্ণ হবেন মিশরের মহম্মদ সালাহ থেকে আলজিরিয়ার রিয়াদ মাহরেজরা। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে ক্যামেরুন। প্রতিপক্ষ বুরকিনা ফাসো। সেই ম্যাচ জয়ের জন্যই করোনা, সন্ত্রাস উপেক্ষা করে জাতীয় দলের জন্য প্রার্থনা শুরু হয়েছে রজার মিল্লার দেশে।

১৯৭২ সালের পর এই প্রথম আফ্রিকার ফুটবলের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ আয়োজনের ডাক পেয়েছে ক্যামেরুন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলগুলো সে দেশে পা রেখেছে বা রাখতে শুরু করেছে। তার ফলে তৎপরতা তুঙ্গে। একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ যাতে হঠাৎ হানা না দিয়ে এই প্রতিযোগিতা পণ্ড না করে দেয়, তার জন্য সতর্কতাও প্রত্যেকটি পদক্ষেপে অনুসরণ করা হচ্ছে।

Advertisement

আফ্রিকার ফুটবলের এই প্রতিযোগিতার জন্য ইউরোপের ক্লাবগুলিকে ফুটবলার ছেড়ে দিতে হয়েছে। যার ফলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, সেরি আ, লা লিগা-সহ বিভিন্ন প্রথম সারির লিগের অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর আফ্রিকান ফুটবলারেরা তাঁদের দেশে ফেরায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ইউরোপের ক্লাবগুলোর কর্তারা। যে কথা শোনার পরে চটেছেন আফ্রিকার বিভিন্ন জাতীয় দলের কর্তা-সহ আফ্রিকার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার কর্তারাও। এঁদেরই একজন বলেছেন, ‍‘‍‘আফ্রিকার ফুটবল নিয়ে এই দ্বিচারিতা কেন? অন্য মহাদেশীয় কাপের সময় ফুটবলার ছাড়তে তো সমস্যা হয় না ওদের! প্রবল রাগ হচ্ছে ওদের এই আচরণ দেখে।’’

ইউরোপের ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন এই পরিস্থিতিতে আবার আঙুল তোলার জায়গা পেয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ আফ্রিকা মহাদেশ থেকেই ছড়িয়ে পড়ায়। ফিফার কাছেও আবেদন করেছে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। কিন্তু সেগুলো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি আফ্রিকার এই কাপ অব নেশনস আয়োজনে।

পাশাপাশি রয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ও। সেই বিষয় নিয়েও আপত্তি জানাতে ছাড়েনি ইউরোপের ক্লাবগুলো। ক্যামেরুনের যে ছ’টি শহর ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে, তার মধ্যে একটি হল লিম্বে। এই শহরে অনুষ্ঠিত হবে আটটি ম্যাচ। কিন্তু সেখানকার শহরতলী অঞ্চলে মাঝে মাঝেই বন্দুকবাজদের সংঘর্ষে খবরের শিরোনামে থেকেছে সেই ২০১৭ সাল থেকে সে দেশের ঘরোয়া সমস্যার কারণে। যদিও স্থানীয় আয়োজকেরা এই অভিযোগ খণ্ডন করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি এই লিম্বে শহরেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে। এ বার পুলিশ-সহ আরও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রয়েছে। ফলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ২০১৭ সালে আফ্রিকা কাপ অব নেশনস চলার সময়ে ক্যামেরুনের ম্যাচে সেখানে বিদ্রোহীরা বন্দুক ছেড়ে উৎসবে মেতেছিলেন ফুটবলের জয়ে।

আফ্রিকার এই ফুটবল প্রতিযোগিতা মানেই গ্যালারিতে বর্ণময় সব দর্শকদের উপস্থিতি থাকবেই। কিন্তু করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৬০ শতাংশ দর্শকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ক্যামেরুনের পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় অন্যতম সেরা দল মহম্মদ সালাহের দেশ মিশরও।

আজ, আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে ক্যামেরুন বনাম বুরকিনা ফাসো, রাত ৯.৩০, সোনি সিক্সে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement