২০২৬ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ফরম্যাটে পরিবর্তন করা হল। ছবি: টুইটার।
২০২৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল হবে ৪৮টি দেশকে নিয়ে। প্রতি মহাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক দেশ খেলার সুযোগ পাবে মূলপর্বে। যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্যও তাই বেশি সময় লাগতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে যোগ্যতা অর্জন পর্বে বড় পরিবর্তন করল আফ্রিকা।
এত দিন যে ভাবে আফ্রিকার দেশগুলি ফুটবল বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করত, আগামী বার থেকে সে ভাবে করতে পারবে না। যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা শেষ করতে প্রায় দু’বছর সময় লাগত আফ্রিকার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার। দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই পর্ব শেষ করার জন্য আরও বেশি সময় লাগার সম্ভাবনা ছিল। তাতে ফুটবলের অন্য সূচির ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারত। তাই তিন রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন পর্বের বদলে এক রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন পর্ব শুরু করছে আফ্রিকার ফুটবল সংস্থা। নতুন ফরম্যাটে যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা শেষ করতে ছ’মাস মতো সময় কম লাগবে।
এত দিন পর্যন্ত আফ্রিকার পাঁচটি দেশ বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেত। ২০২৬ সাল থেকে খেলতে পারবে সর্বোচ্চ ১০টি দেশ। তাই সদস্য দেশগুলিকে মোট ন’টি গ্রুপে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল। আফ্রিকার ৫৪টি দেশকে ন’টি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন। ফিফা ক্রমতালিকা অনুযায়ী আগামী ১২ জুলাই ৫৪টি সদস্য দেশকে ন’টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ছ’টি করে দেশ। দশম স্থানের জন্য লড়াই হবে গ্রুপগুলির সেরা চারটি রানার্স দলের মধ্যে।
আগামী বছর নভেম্বর থেকে শুরু হবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলাগুলি। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে অধিকাংশ খেলা শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তা না করা গেলে গ্রুপের খেলা শেষ করার জন্য ২০২৫ সালের মার্চ, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে নির্দিষ্ট তিনটি সময় রাখা হয়েছে।
তার পর ২০২৫ সালের নভেম্বরে সেরা চারটি রানার্স দলকে নিয়ে হবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের আরও একটি রাউন্ড। তাদের মধ্যে বিজয়ী দল ২০২৬ সালের মার্চে ফিফার প্লে-অফ খেলার সুযোগ পাবে। সেই প্লে-অফ জিততে পারলে আফ্রিকার ১০নম্বর দেশ হিসাবে আমেরিকা-কানাডা-মেক্সিকো বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে তারা।