দল হিসেবে নিঃসন্দেহে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের থেকে শক্তিশালী আবাহনী। বাংলাদেশের জাতীয় দলের একাধিক ফুটবলার রয়েছে তাদের। এ ছাড়া রয়েছেন কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস, যিনি আবার ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া জনি আকোস্তার বন্ধু। জনির থেকেই তিনি খোঁজ নিয়েছেন ভারতের ফুটবলের। চিরশত্রু এটিকে মোহনবাগান সম্পর্কেও জানেন। তবে সেই মোহনবাগান আর এই দলে এখন অনেক তফাৎ।
—ফাইল চিত্র
বছর তিনেক আগে যখন বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত, সেই ম্যাচে দলে ছিলেন। যুবভারতীর ঠাসা দর্শকের সামনে দুর্দান্ত লড়াই করে মন জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার একই স্টেডিয়ামে খেলতে নামবেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। তবে এ বার গায়ে বাংলাদেশ নয়, থাকবে ক্লাব আবাহনী ঢাকার জার্সি। যুবভারতীতে থাকবেন দর্শকরাও। তবে খালি হাতে এ বার ফিরতে রাজি নন জীবন।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে আবাহনী ঢাকার অধিনায়ক বললেন, “আমাদের কাছে এই ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একে ফাইনাল হিসেবেই দেখছি। এটিকে মোহনবাগানের মতো দলকে হারাতে গেলে আমাদের অত্যন্ত ভাল খেলতে হবে। মাঠে অনেক সমর্থক থাকবে জানি। তবে আমাদের ভয় পেলে চলবে না।”
দল হিসেবে নিঃসন্দেহে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের থেকে শক্তিশালী আবাহনী। বাংলাদেশের জাতীয় দলের একাধিক ফুটবলার রয়েছে তাদের। এ ছাড়া রয়েছেন কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস, যিনি আবার ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া জনি আকোস্তার বন্ধু। জনির থেকেই তিনি খোঁজ নিয়েছেন ভারতের ফুটবলের। চিরশত্রু এটিকে মোহনবাগান সম্পর্কেও জানেন। তবে সেই মোহনবাগান আর এই দলে এখন অনেক তফাৎ।
এ ছাড়া অতীতে আইএসএলে চেন্নাইয়িন এফসি-র হয়ে অনেক দিন খেলে যাওয়া রাফায়েল অগুস্তো রয়েছেন তাঁদের দলে। পাশাপাশি নেরোকা এফসি-তে এক সময় খেলা নেদো তুর্কোভিচকেও এএফসি কাপের জন্য নিয়েছে আবাহনী। সব মিলিয়ে কোনও ভাবেই তাদের দুর্বল প্রতিপক্ষ বলা যাবে না।
কিন্তু আবাহনীকে বিপদে ফেলতে পারে ভারতীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে তাদের ইতিহাস। তৎকালীন মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে এএফসি কাপে খেলেছিল আবাহনী। সে বার যুবভারতীতে ১-৩ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। ফিরতি পর্বে বাংলাদেশে গিয়ে ১-১ ড্র হলেও গোলের বিচারে ছিটকে গিয়েছিল। ২০১৮ সালেও তাদের ফল ভাল হয়নি।
আবাহনী বরং অনেক ভাল খেলে ২০১৯ সালের এএফসি কাপে। সে বার চেন্নাইয়িন এফসি, মিনার্ভা পঞ্জাবের মতো দলকে হারিয়ে গ্রুপ পর্বে জয়ী হয়েছিল তারা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এএফসি কাপে চার বার খেলেছে আবাহনী। সাতটি ম্যাচে জিতেছে, চারটি ড্র হয়েছে এবং ১০টি ম্যাচে তারা হেরেছে।
বাংলাদেশে যে আইএসএল জনপ্রিয়, এটা স্বীকার করে নিয়েছেন কোচ মারিয়ো লেমোস। বলেছেন, “বাংলাদেশে তো আইএসএলের ম্যাচ থাকলেই টিভিতে সব সময় সেই খেলাই চলে। ওখানে এই লিগ খুব জনপ্রিয়। আমাদের দলের ফুটবলাররাও অনেকে আইএসএলের খেলা দেখে। অনেকে আইএসএল খেলতেও চায়। আমিও ওই লিগ দেখেই মোহনবাগানের সম্পর্কে ভাল করে জেনেছি। তাই ওদের ভাল করে দেখেই আমরা খেলতে নামব।”
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অধিনায়ক জীবনেরও। তিনি বলেছেন, “তখন যে দলটা ছিল, এখন তার থেকেও বেশি শক্তিশালী। ফলে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও মানেই নেই। আমরা নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে আশাবাদী। একটাই লক্ষ্য, এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের যোগ্যতা অর্জন।”