রাজ্যপালের তীব্র নিন্দা করলেন সাহেব।
রাজ্যপাল লা গণেশনের আচরণের তীব্র নিন্দা করলেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। রবিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ছবি তোলার জন্য সুনীল ছেত্রীকে ঠেলে এক পাশে সরিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার রাজ্যপাল। সেই ঘটনার ভিডিয়ো টুইট করে সাহেবের কটাক্ষ, বিয়েবাড়ির অতিথিদের মতো ছবি তোলার জন্য ধাক্কাধাক্কি করেছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, সাহেব হলেন সম্পর্কে সুনীলের শ্যালক এবং প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যের ছেলে। তাঁর বোন সোনমকে ২০১৭-তে বিয়ে করেন সুনীল।
সোমবার সকালে ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে সুনীলের জামাইবাবু সাহেব লিখেছেন, ‘মাফ করবেন। এই ট্রফিটা সুনীলের, ওর দলের। প্রচারের আলো কেড়ে নেওয়ার জন্য ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ককে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েছেন। আপনার ‘পদে’ থাকা এক জন মানুষের পক্ষে এটা কোনও মতেই শোভনীয় নয়। মনে হচ্ছিল ছবি তোলার কোনও প্রতিযোগিতা চলছে। ক্রীড়ামন্ত্রীকেও দেখছি সবার মাঝে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।’ তিনি আরও লেখেন, ‘মনে রাখবেন, আপনাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং আপনি সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। বিয়েবাড়ির কোনও দূরসম্পর্কের অতিথি নয় যে পারিবারিক ছবি তোলার জন্য ধাক্কাধাক্কি করবেন। অন্তত কিছু সম্মান দেখান এবং নিজের জন্যেও সম্মান আদায় করে নিন।’
সাহেব একাই নয়, অনেক খ্যাতনামীই নেটমাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বস্তুত, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছবি তোলার সময় বেশ ধাক্কাধাক্কি হয়। একটি ভিডিয়োতে অরূপ বিশ্বাসকেও দেখা যায় বেঙ্গালুরুর ফুটবলার শিবশক্তি নারায়ণনকে সামনে থেকে সরিয়ে দিতে (আনন্দবাজার অনলাইন ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। নেটমাধ্যমে অনেকেই দাবি করেন, এই ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চান লা গণেশন।
রবিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-কে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক হিসাবে সুনীলই ট্রফি নিতে গিয়েছিলেন। তাঁর হাতে ট্রফি তুলে দেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ক্রীড়ামন্ত্রীর ঠিক বাঁ দিকেই দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর বাঁ দিকে ছিলেন সুনীল। ট্রফি নেওয়ার সময় রাজ্যপালের সামনে চলে আসেন তিনি। ছবি তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে ভেবে সুনীলের কাঁধ ধরে টেনে তাঁকে আরও কিছুটা বাঁ দিকে সরিয়ে দেন গণেশন। সুনীল কিছুটা অবাক হয়ে গেলেও সামলে নেন।