পুরনো দল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে সদ্য সই করেছেন তিনি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আবার গতির ঝড় তুলবেন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মাঠে। তাঁর দৌড় ছিটকে দেবে বিপক্ষের রক্ষণ। ৩৬ বছরের রোনাল্ডো এখনও ২৬ বছরের তরুণের মতো দৌড়নোর ক্ষমতা রাখেন। কী করে সম্ভব এমন?
রোনাল্ডোর খাদ্যাভ্যাসেই লুকিয়ে রয়েছে এই রহস্যের উত্তর। সঠিক খাওয়া দাওয়া করেই তারুণ্য ধরে রেখেছেন পর্তুগিজ তারকা।
রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সময় থেকেই রোনাল্ডোর নিজস্ব ডায়েটিশিয়ান রয়েছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী সারা দিনে ছ’বার খাবার খান রোনাল্ডো।
সেই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, শস্য। ফ্যাট জাতীয় খাবার খুব কম খান রোনাল্ডো। তিনি বলেন, “রোজ খাবার খাও। শক্তি ধরে রাখার জন্য এটা জরুরি।”
কী খেতে পছন্দ করেন রোনাল্ডো? প্রাতরাশে তারকা ফুটবলারের পছন্দ চিজ, হ্যাম এবং দই। মধ্যাহ্নভোজের আগে মুরগির মাংস এবং স্যালাড খান তিনি। মধ্যাহ্নভোজে টুনা মাছ, অলিভ, ডিম এবং টমেটো খান রোনাল্ডো।
এর পর রোনাল্ডোর খাদ্যতালিকায় থাকে ফল এবং অ্যাভাকাডো, সঙ্গে পাউরুটি। রাতের খাবারের আগে রোনাল্ডো খান সোর্ড মাছ এবং ফল। রাতের খাবারে থাকে মাংস এবং স্কুইড।
মদ্যপান করেন না রোনাল্ডো। প্রচুর পরিমাণে জল খান তিনি। ঠাণ্ডা পানীয় যে তাঁর পছন্দ নয়, সেটা তো ইউরো কাপেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
কতক্ষণ ঘুমোন রোনাল্ডো? সারা দিনে সাড়ে সাত ঘণ্টা ঘুমোন তিনি। তবে টানা নয়। দিনে ৯০ মিনিট করে পাঁচ বার ঘুমোন তিনি।
খেলা না থাকলে রোনাল্ডো নিজের মতো অনুশীলন করতে থাকেন। শরীর ঠিক রাখতে বার বার ব্যায়াম করেন তিনি।
সারা দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা ব্যায়াম করেন রোনাল্ডো। জিমে ২৫-৩০ মিনিট কার্ডিয়ো করেন। দ্রুত দৌড়নো, ভারী ওজন তোলার মতো ব্যায়ামও করেন তিনি।
রোনাল্ডোর শরীরে মাত্র সাত শতাংশ চর্বি রয়েছে। তাঁর শরীরের ৫০ শতাংশই পেশী। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল নিজের বয়সের থেকে ১৪ বছরের কম অ্যাথলিটের মতো কর্মক্ষমতা রয়েছে তাঁর।