প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দু’বছর আগে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক মহিলা কুস্তিগির। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা যে এফআইআর করেছেন, তাতে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে।
এফআইআর করা অভিযোগ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০২১ সালে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা কুস্তিগির। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে করা ২৮ এপ্রিলের এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, দু’বছর আগে খেলোয়াড়দের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক মহিলা কুস্তিগির বিষয়টি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। এফআইআরে ওই কুস্তিগির লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম আমি এবং অন্য মহিলা কুস্তিগিরেরা বার বার শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছি। ব্রিজভূষণ এবং তাঁর সহযোগীরা বার বার আমাদের নানা ভাবে হেনস্থা করছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ক্রীড়া মন্ত্রক বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখবে। ক্রীড়া মন্ত্রক থেকে শীঘ্রই আমাকে ফোনে যোগাযোগ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন।’’
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে দু’টি এফআইআর করেছেন কুস্তিগিরেরা। তাতে সই রয়েছে ছ’জন কুস্তিগিরের। এক নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবাও সই করেছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিররা অভিযোগ করেছেন, তিনি নানা অছিলায় এবং আশ্বাস দিয়ে তাঁদের শরীর আপত্তিজনক ভাবে স্পর্শ করতেন। ২০১২ সাল থেকে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি রয়েছেন বিজেপি সাংসদ। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ কুস্তিগিরদের। ব্রিজভূষণ অবশ্য প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা একটা অভিযোগও প্রমাণ হলে গলায় দড়ি দেব। কুস্তিগিরদের কাছে কোনও প্রমাণ থাকলে আদালতে দাখিল করুক। অভিযোগ প্রমাণ হলে যে কোনও শাস্তি মাথা পেতে নেব।’’
প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সমর্থনের পাশে ধীরে হলেও দাঁড়তে শুরু করেছেন দেশের ক্রীড়াবিদেরা। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের সদস্যরাও পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিন্নী বিশ্বজয়ী সতীর্থদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন।