ভারতের এক তারকা খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে উঠল বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় লক্ষ্য সেনের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ উঠল। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। তাঁর পরিবার এবং প্রাক্তন জাতীয় কোচ বিমল কুমারের বিরুদ্ধেও এফআইআর করেছেন গোভিয়াপ্পা নাগরাজা নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগ, ২০১০ সাল থেকে লক্ষ্য এবং তাঁর দাদা চিরাগ সেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বয়স ভাঁড়িয়ে খেলছেন। এফআইআরে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করা হয়েছে। এফআইআরে নাম রয়েছে তাঁদের বাবা ধীরেন্দ্র সেন, মা নির্মলা সেন এবং তাঁদের কোচ বিমলের। উল্লেখ্য, ১০ বছর বয়স থেকে বিমলের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন লক্ষ্য। সকলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ৪৬৮ (জালিয়াতি), ৪৭১ (ভুয়ো নথি দেওয়া) এবং ৩৪ (একাধিক ব্যক্তির এক উদ্দেশ্য) ধারায় অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে।
লক্ষ্য আদতে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা হলেও বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোনের অ্যাকাডেমিতে বিমলের কাছে অনুশীলন করেন। নাগরাজার অভিযোগ বিমলের পরামর্শেই ২০১০ সালে লক্ষ্য এবং চিরাগের জন্মের ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করা হয়। সেই শংসাপত্র দেখিয়ে বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় খেলেছেন তাঁরা। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিমল। লক্ষ্যর কোচ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘বিষয়টা খুব বিরক্তিকর। খুবই সস্তা বিষয়। লক্ষ্য ভাল ছন্দে রয়েছে। কয়েক দিন বিশ্রামের পর অনুশীলন শুরু করেছে। এই ধরনের বিষয় ওর কাছে মানসিক ভাবে সমস্যার হতে পারে।’’ পাড়ুকোন অ্যাকাডেমির প্রধান কোচ বিমল আরও বলেছেন, ‘‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, সাজানো এবং অসৎ উদ্দেশ্যে। যাঁরা ব্যাডমিন্টন সম্পর্কে খবর রাখেন, তাঁরা জানেন কী ভাবে বয়স খতিয়ে দেখে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। দায় এবং দায়িত্ব দুটোই সর্বভারতীয় সংস্থার। একমাত্র সংস্থাই এই কাজটা করে। খেলোয়াড়রা যেখানেই অনুশীলন করুক, তারা রাজ্য বা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই এই পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ৩০ বছর ধরে কোচিং করাচ্ছি। ছোট ছেলে-মেয়েদের তৈরি করেছি। কখনও এমন অভিযোগ ওঠেনি।’’
গত কমনওয়েলথ গেমসে সিঙ্গলসে সোনাজয়ী লক্ষ্য এখন বিশ্বের ছয় নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। ২০২১ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন লক্ষ্য। ভারতের সেরা পুরুষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। গত বুধবার অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন।