লড়াই: বল দখলের চেষ্টা মহমেডানের ফিকরুর। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
ফিকরু তেফেরা হেড করতে উঠে দু’বার ব্যর্থ হলেন। দৌড়ে গিয়ে পাস ধরতে সমস্যায় পড়ছিলেন বারবার। পৌঁছতেই পারছিলেন না বলের কাছে। বোঝাই যাচ্ছিল, এখনও পুরোপুরি ফিট নন ইথিওপিয়ান স্ট্রাইকার। মাঠে দেরিতে আসায় শাস্তি পেলেন অবশ্য। শুরুতে তাঁকে নামাননি কোচ। বিরতির কিছুক্ষণ পর ফিকরুকে নামিয়ে দেন মহমেডান কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। এবং তাঁর নামার পরেই গোল হজম করল মহমেডান। আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ খেলতে মণিপুরে যাওয়ার আগে যা দেখে আশঙ্কায় সাদা-কালো কোচ। তবে প্রকাশ্যে সমালোচনায় যাননি তিনি। বলে দিলেন, ‘‘ফিকরু ভাল ফুটবলার। একটু সময় দিলে ভাল খেলবে। ’’
সুপার কাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে শুক্রবার ভুবনেশ্বর যাওয়ার কথা মোহনবাগানের। তার আগে বুধবার যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল মহমেডানের সঙ্গে অনুশীলন ম্যাচ খেলল। মোহনবাগান জিতল ২-০ গোলে। বিরতির পরেই হল দু’টো গোলই। গোল করলেন রেনিয়ার ফার্নান্দেজ এবং আক্রম মোগরাভি। পেনাল্টি নষ্ট করলেন দিপান্দা ডিকা।
দুই প্রধানের ম্যাচ দেখতে এ দিন ভিড় হয়েছিল ভালই। মোহনবাগানের প্রায় সব ফুটবলারই খেললেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। এমনকি ইউতা কিনওয়াকিও খেললেন। নতুন বিদেশি স্যামুয়েলও ভাল খেললেন। উল্টোদিকে মহমেডানের অনেক ফুটবলারই ছিলেন না। তীর্থঙ্কর সরকার, জিতেন মুর্মুরা বাংলা দলের হয়ে খেলতে সন্তোষ ট্রফি শিবিরে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিরতির আগে পর্যন্ত সমান তালে লড়াই হল। দু’পক্ষই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। বিরতির পর মহমেডান নামায় দুই বিদেশি ফিকরু এবং ইচে-কে। এর পরই গোলের রাস্তা খোলেন আক্রম-রা। এ দিন ম্যাচের পর জয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সবুজ-মেরুন কোচ। তবে জানা গিয়েছে, ড্রেসিংরুমে শঙ্করলাল সবাইকে গুরুত্ব দিয়ে ম্যাচ খেলতে বলেছিলেন।