এই মুহূর্তে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে ভারত। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিরাটরা ধরে রাখতে চাইবেন সেই জায়গা। ক্যারিবিয়ান সফরে ব্যর্থ হয়েছেন রাহুল। দলের থিঙ্কট্যাঙ্ক তাই চাইছে রোহিতকে দিয়ে ওপেন করাতে। কেমন হল পনেরো জনের টেস্ট দল। দেখে নেওয়া যাক।
বিরাট কোহালি- শুধু ভারতের নয়, তাঁকে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কিন্তু সেই জায়গায় ভাগ বসাতে চলে এসেছেন স্টিভ স্মিথ। একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াইতে এই সিরিজ কাজে লাগাতে চাইবেন কিং-কোহালি।
মায়াঙ্ক আগরওয়াল- ক্যারিবিয়ান সফরে অসাধারণ কিছু না করলেও এখনই বাদ পড়বেন না তা বোঝাই যাচ্ছিল। তবে শুভমান গিলদের মতো উঠতি তারকারা অপেক্ষা করছেন। তাই এই সিরিজে তাঁর পারফরমান্স যে আতস কাচের নীচে পড়বে তা বলাই যায়।
রোহিত শর্মা- প্রধান নির্বাচক তাঁকে ওপেন করিয়ে দেখার কথা বলেছেন। এই সিরিজে ঘরের মাঠে রোহিতের টেস্ট ভাগ্য খোলে কিনা সেটাই দেখার। রোহিত কি এখানেও ‘রো-হিট’ হয়ে উঠবেন? পারবেন ওপেনার হিসাবে পরবর্তী সহবাগ হয়ে উঠতে?
চেতেশ্বর পূজারা- ভারতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য টেস্ট ব্যাটসম্যান। তাঁর উপস্থিতি অনেকটাই চাপ কমিয়ে দেয় মিডল অর্ডারে। দেশের মাঠে তাঁর ব্যাট থেকে বড় রানের ইনিংস চাইবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
অজিঙ্ক রাহানে- টেস্টের সহ-অধিনায়ক ফর্মে ফিরেছেন। ক্যারিবিয়ান সফরের ফর্ম যদি ভারতের মাটিতেও ধরে রাখতে পারেন, তা হলে মিডল অর্ডার নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না বিরাটদের।
হনুমা বিহারী- নতুনদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি ভরসা জুগিয়েছেন তিনিই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফের পেয়েছেন নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরানও। এই দুরন্ত ফর্ম ধরে রাখতে চাইবেন তিনি এই সিরিজেও।
ঋষভ পন্থ- আবারও পন্থে ভরসা রাখল দল। তাঁর খারাপ ফর্ম নয়, চিন্তার কারণ পন্থের ভুল শট নির্বাচন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আইপিএল আর টেস্ট ক্রিকেট যে দু’টি আলাদা জগত তা এখনও বোধহয় বুঝতে পারছেন না তরুণ প্রতিভা। ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন তিনি?
ঋদ্ধিমান সাহা- বাংলার উইকেটকিপারকে আগের সিরিজে বসেই কাটাতে হয়েছে। আজও তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার, এই বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু নির্বাচকরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে পন্থকে তৈরি করতে চাইছেন। এখন দেখার এই সিরিজে সুযোগ পান কিনা প্রথম একাদশে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন- এক স্পিনার ফর্মুলাতে খেলায় আগের সিরিজে সুযোগ পাননি। ভারতের মাটিতে অবশ্যই দু’জন স্পিনারে খেলবেন বিরাটরা। সুযোগ তিনি পাবেন আশা করা যায়। অনেকদিন পর তাঁকে প্রথম একাদশে দেখা যেতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবীন্দ্র জাডেজা- সত্যিকারের থ্রি-ডি প্লেয়ার বোধ হয় তিনিই। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— তিন বিভাগেই তিনি অপরিহার্য। তাঁকে বাদ দিয়ে এখন কোনও ভারতীয় দলই তৈরি হচ্ছে না। এই সিরিজেও তার অন্যথা হল না।
কুলদীপ যাদব- এই চায়ানামান বোলারকেও ঘরের মাঠে সামলাতে সমস্যায় পড়বেন আফ্রিকানরা। তাঁর স্পিনের জাদু ভারতীয় পিচে যে আরও ভয়ঙ্কর হবে তা বলাই বাহুল্য।
মহম্মদ শামি- তাঁর সঙ্গে বুমরা-র জুটি বিশ্ব ক্রিকেটে ত্রাস হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস ব্যাটারিকে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা এখন ভারতের কাছেও মজুত রয়েছে।
যশপ্রীত বুমরা- তাঁর ইয়র্কারের উত্তর পেতেই এত দিন হিমশিম খেতেন ব্যাটসম্যানরা। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন অস্ত্র আউটসুইং। ফলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রথমবার টেস্ট জার্সি গায় ভারতীয় পিচে নামবেন তিনি।
ইশান্ত শর্মা- এখন শুধু বল নয়, ব্যাটেও সমীহ করতে হবে ইশান্তকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেনতুন এক ইশান্তকে পেল ভারতীয় দল। দেখা যাক ভারতে এসেও ব্যাট-বল দুই বিভাগেই নজর কাড়তে পারেন কিনা।
শুভমন গিল- ক্যারিবিয়ান সিরিজে সুযোগ না পাওয়ায় বিপুল প্রশ্ন ওঠে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। নিয়মিত রান করে অনেকদিন ধরেই কড়া নাড়ছিলেন পঞ্জাবতনয়। ওয়ান ডে খেলেছেন আগেই, এ বার তাঁর টেস্ট দলেও জায়গা হল।