অক্টোবরের প্রথম থেকে বিশাখাপত্তনমে শুরু হতে চলেছে ভারতের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট। আমলা, স্টেন, ডেভিলিয়ার্সদের মতো মহাতারকারা অবসর নেওয়ার পর নতুন এক দক্ষিণ আফ্রিকা আসতে চলেছে ভারতে। একাধিক নতুন মুখ এসেছে দলে। কেমন হল সেই টেস্ট দল? দেখে নেওয়া যাক।
ফ্যাফ দু’প্লেসি- দলের অভিজ্ঞতম প্লেয়ার। বিশ্বকাপে নিয়মিত রান পেয়েছেন। এখন দেখার,অনভিজ্ঞ এই দল নিয়ে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে কতটা লড়াই করতে পারে ফ্যাফের দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেম্বা বাভুমা- সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব ৩৬টা টেস্ট খেলা বাভুমার কাঁধে। একটি শতরান-সহ ১৭১৬ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। মিডল অর্ডারের দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধেই।
থিয়ুনিস দি ব্রুইন-২৭ বছরের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের অভিজ্ঞতা মাত্র ৯টি টেস্টের। যদিও দু’বছর আগে প্রথম অভিষেক ঘটে দলে। নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন এই সিরিজে।
কুইন্টন দি কক- দলের প্রধান উইকেটরক্ষক তিনিই। ব্যাট হাতেও তাঁকে অনেকটা দায়িত্ব নিতে হবে এই অনভিজ্ঞ প্রোটিয়া দলে।
ডিন এলগার- সাত বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ১১টি শতরান করেছেন ৫৬টি ইনিংসে। রয়েছে ১৩টি অর্ধশতরানও। শুরুতে বুমরাদের সামলাতে হবে তাঁকেই।
জুবের হামজা- এ বছর জানুয়ারিতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটেছে তাঁর। সদ্য ২৪ পেরোনো এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন ফ্যাফরা।
কেশব মহারাজ- বাঁ-হাতি এই স্পিনার অলরাউন্ডারের দিকে দল তাকিয়ে থাকবে তাহিরের ফাঁকা জায়গা পুরণের আশায়। ১০০ উইকেট নেওয়ার থেকে আর মাত্র ছয় উইকেট দূরে তিনি।
এইডেন মার্করাম- এই দলের আরেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান তিনি। ১৭ ম্যাচে টেস্ট গড় ৪৩.৮০। তরুণ এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানেরও তাগিদ থাকবে দলে নিজের জায়গা পাকা করার।
সেনুরান মুথুস্বামী- তরুণ এই অলরাউন্ডার প্রথম বার সুযোগ পেয়েছেন দলে। ব্যাট-বল দুই বিভাগেই পারফর্ম করেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। দেখা যাক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন কিনা।
লুঙ্গি এনগিডি- তরুণ পেসার টেস্টে নতুন হলেও দল ভরসা রাখবে তাঁর ওপর। আইপিএলে খেলে যাওয়া এই বোলারের ভারতীয় আবহাওয়া সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। সেই জ্ঞান কাজে লাগাতে চাইবে প্রোটিয়ারা।
এনরিক নর্টজে- একদিনের দলে খেললেও, টেস্টে প্রথম বারের জন্য দলে নেওয়া হয়েছে এই পেস বোলারকে। ডেল স্টেনের ফাঁকা জায়গার সুযোগ কি তিনি নিতে পারবেন? সে দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল।
ভের্নন ফিল্যান্ডার- দলের অভিজ্ঞতম পেসার অলরাউন্ডার। টেস্টে পেয়েছেন ২১৪টি উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন দু’বার। ব্যাট হাতে করেছেন ১৫৩৮ রান। লোয়ার মিডল অর্ডারের গুরুদায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধেই।
ডেন পিয়েৎ- দলের আরেক স্পিনার। সাত ম্যাচে নিয়েছেন ২৪টি উইকেট। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। ভারত সফরে নজর থাকবে তাঁর দিকে।
কাগিসো রাবাডা- এই দলের সবচেয়ে আলোচিত খেলোয়াড়। তাঁর উত্থান হয়েছিল উল্কার গতিতে। যদিও বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। ভারতে আইপিএল খেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে তাঁর।
রুডি সেকন্ড- আরেক নবাগত খেলোয়াড়। ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। ১০৫ ম্যাচে ৬৮৯৩ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন পরীক্ষা থাকবে তাঁর সামনে। সেই মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার।