বার্তা: ইংল্যান্ডের প্রথম গোলের পরে রাহিম স্টার্লিং। ছবি রয়টার্স।
ফের কলঙ্কিত ফুটবল। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ম্যাচে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হলেন ইংল্যান্ডের রাহিম স্টার্লিং ও জুড বেলিংহ্যাম। দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করল ফিফা।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ফেরেঙ্ক পুসকাস স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন ৬৭ হাজার দর্শক। খেলা শুরু হওয়ার আগে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মাঠে হাঁটু মুড়ে বসার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্রুপের শিকার হন ইংল্যান্ডের ফুটবলারেরা। আক্রমণের মূল লক্ষ্য যদিও ছিলেন স্টার্লিও এবং বেলিংহ্যাম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই দুই ফুটবলারকে ‘বাঁদর’ বলে কটাক্ষ করে দর্শকদের একাংশ। দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্টার্লিও এবং বেলিংহ্যামকে লক্ষ্য করে গ্যালারি থেকে জলের বোতল, কাগজের কাপ, আতস বাজি ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছে। ইউরো ২০২০-র ফাইনালে ইটালির কাছে টাইব্রেকারে হারের পরে দেশের মাটিতেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন স্টার্লিং, জাডন স্যাঞ্চো-সহ ইংল্যান্ডের একাধিক ফুটবলার। বৃহস্পতিবার রাতে একই ছবি দেখা গেল বুদাপেস্টে।
বর্ণবিদ্বেষের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফিফাকে অনুরোধ করেছেন দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার। তিনি বলেছেন, “এই ধরনের অপমানজনক ব্যবহার যারা করে, তারা যাতে কড়া শাস্তি পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।”
ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেছেন, “সকলেই জানে আমরা বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে। এই বৈষম্য শুধু ফুটবল থেকে নয়, মানুষের জীবন থেকেই সরিয়ে দিতে চাই।” বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, “ফুটবলে বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণ ফিফা কখনওই প্রশ্রয় দেয় না।” ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তারা। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও হাঙ্গেরিকে ৪-০ চূর্ণ করেছে ইংল্যান্ড। গোল করেন স্টার্লিং, হ্যারি কেন, হ্যারি ম্যাগুয়ের ও ডেক্ল্যান রাইস।
অন্য ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে স্পেনকে ২-১ হারাল সুইডেন। টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করে ইটালি ১-১ ড্র করল বুলগেরিয়ার সঙ্গে। এই নজির রয়েছে স্পেন এবং ব্রাজিলের। পাশাপাশি জার্মানি ২-০ হারাল লিঞ্চেনস্টাইনকে।