ছবি সংগৃহীত।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ভারতে স্থগিত মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের নতুন সূচি ঘোষণা করে দিল ফিফা। নতুন সূচিতে আগামী বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ষোলো দেশের এই প্রতিযোগিতা। ফাইনাল ৭ মার্চ। ফেডারেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় কোনও সমস্যা না হলে কলকাতা-সহ দেশের যে পাঁচটি শহরে আগে খেলা হওয়ার কথা ছিল তার কোনও পরিবর্তন হবে না।
কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনও নির্দেশও দেয়নি ফিফা। কলকাতা ছাড়া আমদাবাদ, গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর ও নভি মুম্বইয়ের স্টেডিয়ামে ম্যাচ হওয়ার কথা। উদ্বোধনী ম্যাচ হতে পারে গুয়াহাটিতে। সেখানেই খেলার কথা ভারতীয় দলের। ফাইনাল হবে নভি মুম্বইয়ে।
সূচিতে কলকাতায় রয়েছে সাতটি ম্যাচ। গ্রুপ লিগের ছ’টি খেলা ছাড়াও কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচ হবে যুবভারতীতে। অনূর্ধ্ব ১৭ ছেলেদের বিশ্বকাপের চার বছর পরে ফের বিশ্ব পর্যায়ের আরও একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ পেতে চলেছেন বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ।
আরও পড়ুন: পাঁচ পরিবর্তের পরীক্ষাকে স্বাগত ভাইচুং, বিজয়নদের
মেয়েদের এই বিশ্বকাপ এমনিতে হওয়ার কথা ছিল এই বছরের ২ থেকে ২১ নভেম্বর। কিন্তু করোনা আতঙ্ক ছড়ানোর পরে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,খেলা তিন মাস পিছিয়ে গেলেও বয়সের মাপকাঠি একই রকম থাকবে। ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারির পরে এবং ২০০৫-এর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাদের জন্ম, সেই ফুটবলারই একমাত্র এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন।
এ দিকে, ফিফার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল। নতুন সূচি জানার পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সবাই মিলে কথা বলেই সূচি তৈরি হয়েছে। স্টেডিয়াম-সহ বিশ্বকাপ সংগঠনের বাকি সব কিছুই তৈরি আছে।’’ নতুন সূচিকে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। জাতীয় সংস্থাকে সরকারের তরফ থেকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আর ফেডারেশনের বিশ্বকাপ সংগঠন কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘যে পাঁচটি শহরে খেলা হওয়ার কথা, তারা অতিরিক্ত কিছুটা সময় পেয়ে যাবে সাংগঠনিক ভাবে আরও তৈরি হওয়ার জন্য।’’
আরও পড়ুন: এখনই কেন মাঠে ফেরা, প্রশ্ন সতর্ক স্টার্লিংয়ের
বিশ্বকাপের সূচি জানিয়ে দিলেও ফিফা কিন্তু তাদের বিবৃতিতে লিখেছে, দিন ঠিক হয়ে গেলেও নিয়মিত নজরদারি চলবে। আসলে ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার মাথাব্যথার কারণ, এশিয়া ছাড়া বিশ্বের আর কোনও অঞ্চলেরই যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের খেলা এখনও শেষ না হওয়াটা। সংগঠক দেশ হিসাবে ভারত ছাড়া এশিয়া থেকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জাপান এবং উত্তর কোরিয়া। বাকি দেশগুলি মূলপর্বে আসার কথা আফ্রিকা, ইউরোপ, ওসেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্য ও উত্তর আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে সেই সব জায়গায় কবে আবার খেলা শুরু হবে, তা নিয়েই উদ্বেগে ফিফা।