SUBHMAN GILL

গত অস্ট্রেলিয়া সফরকে কীসের সঙ্গে তুলনা করলেন শুভমন গিল?

সেই সিরিজে ভারত ২-১ ব্যবধানে জিতলেও ২১ বছরের শুভমন মনে করেন পরিস্থিতি একেবারেই অনুকুল ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১ ২০:৫২
Share:

এখনও অস্ট্রেলিয়া সফরে মজে রয়েছেন তরুণ শুভমন। ফাইল চিত্র

অস্ট্রেলিয়ার ঘাসে ভরা পিচে বিপক্ষের ভয়ঙ্কর জোরে বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করা যেন যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার সমান। এমনটাই মনে করেন শুভমন গিল। গত সফরে গিয়ে জমকালো মেজাজে টেস্ট অভিষেক ঘটিয়েছিলেন শুভমন। মেলবোর্নে অভিষেক টেস্টে ৪৫ ও অপরাজিত ৩৫ করার পর, সিডনিতে দুই ইনিংসে ৫০ ও ৩১ করেছিলেন। ব্রিসবেনে শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সেই সিরিজে ভারত ২-১ ব্যবধানে জিতলেও ২১ বছরের শুভমন মনে করেন পরিস্থিতি একেবারেই অনুকুল ছিল না।

Advertisement

শুভমন বলছেন, “সত্যি বলতে ফিল্ডিং করার সময় বিন্দুমাত্র চাপ অনুভব করিনি। কিন্তু ড্রেসিংরুম থেকে তৈরি হয়ে ক্রিজে যাওয়ার সময় দর্শকদের চিৎকার যখন কানে আসে ও পিচে গিয়ে বিপক্ষের জোরে বোলিং খেলার সময় মনে হচ্ছিল আমি যেন যুদ্ধক্ষেত্রে আছি।”

অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্টে পৃথ্বী শ ব্যর্থ হওয়ার পর সুযোগ পান শুভমন। ৩ টেস্টে ৫১.৮০ গড় নিয়ে ২৫৯ রান করেন এই পঞ্জাব তনয়। কিন্তু মেলবোর্নে টেস্ট সফর শুরু করার আগে প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী তাঁকে যেন আগলে রেখেছিলেন। আর তাই শাস্ত্রীর প্রসঙ্গ এলেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শুভমন। কারণ তাঁর কাছ থেকেই যে ‘টেস্ট ক্যাপ’ পেয়েছিলেন। তাই বলছেন, “সেই দিনটা জীবনে ভুলতে পারব না। যে স্বপ্ন নিয়ে ছোটবেলা থেকে অনুশীলন করতাম সেই স্বপ্ন মেলবোর্নে পূরণ হল। রবি শাস্ত্রী আমার হাতে ‘টেস্ট ক্যাপ’ তুলে দেওয়ার পর গা গরম করে দেওয়া বক্তব্য রাখলেন। ওঁর কথাগুলো শোনার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলাম। সেই মুহূর্তগুলো আজীবন ভুলতে পারব না।”

Advertisement

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে সাফল্য আসেনি। চার টেস্টে মাত্র একটা অর্ধ শতরান। সর্বাধিক রান ৫০। সুনীল গাওস্কর থেকে ভিভিএস লক্ষ্মণ সবাই শুভমনের পাশে দাঁড়ালেও ব্যাটিং নিয়ে আরও সাবধানী হতে বলেছেন। সেটা মাথায় রেখেছেন শুভমন। তবে তিনি এখনও গত অস্ট্রেলিয়া সফরে মজে আছেন। বলছেন, “স্কুলে পড়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ম্যাচ হলেই বাবা ভোরবেলা ঘুম ভাঙিয়ে দিত। দুজনে টেস্ট ম্যাচ দেখতাম। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। টেলিভিশনে দেখতাম সচিন স্যারকে ব্রেট লি কিংবা গ্লেন ম্যাকগ্রা বোলিং করছেন। এ বার আমি অজিদের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে খেলছিলাম। অনেক মানুষ ঘুম থেকে উঠে আমাদের খেলা দেখছিল। সেটা ভেবেই দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। ভবিষ্যতে ফের সেখানে গিয়ে রান করতে চাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement