উপমহাদেশের উইকেটে যে ওর চেয়ে ভাল ওপেনার এই মুহূর্তে খুব কমই আছে তা প্রমাণ করে দিল শিখর ধবন।
নিজের টেকনিকে আরও একটু ঘষামাজা করে নিতে পারলে যে ধবনের সঙ্গে মুরলী বিজয়ের জুটিটাও টেস্ট ক্রিকেটে জমে যাবে, তা-ও বোঝা গেল।
আর টেস্টের প্রথম দিনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল, ভারত এই টেস্টে হারছে না। যদি দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন হরভজন, অশ্বিনরা আইপিএলের ফর্ম দেখাতে পারে, তা হলে বরং বাংলাদেশেরই ঘোর বিপদ আসন্ন।
তা ছাড়া বাংলাদেশের এই টেস্ট জেতার ইচ্ছাটাও তো তেমন দেখা যাচ্ছে না। থাকলে কেউ একটা মাত্র জোরে বোলার আর আট-ন’জন ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামে!
বাংলাদেশের দল নির্বাচন দেখে বেশ অবাক হয়ে গেলাম। মাত্র এক জন বিশেষজ্ঞ পেস বোলার! মহম্মদ শাহিদ। সৌম্য সরকারের মতো পার্টটাইম পেসারের উপর ভরসা রাখা হল কী করে জানি না। বাকিরা সবাই ব্যাটসম্যান। ভারত বোর্ডে যত বড় রানই তুলুক না কেন, এক ঝাঁক ব্যাটসম্যান নামিয়ে সেই রানটা তাড়া করে ম্যাচটা ড্রয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থেকেই সম্ভবত এই দল নির্বাচন। ম্যাচের শুরু থেকেই যখন এ রকম একটা উদ্দেশ্য নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, তখন তাদের মধ্যে সফল হওয়ার ইচ্ছেটা আর খুঁজে পাওয়া যাবে কী করে? বরং এ রকম উইকেটে, যেখানে দ্বিতীয় দিন থেকেই বল ঘোরার সম্ভাবনা প্রবল, সেখানে হরভজন, অশ্বিনরা যদি বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে দেয়, তা হলে ওরা হারের দিকে চলে যেতে পারে।
এক দিকে শিখর ধবনের মতো ডাকাবুকো, দ্রুত উন্নতি করতে পারা বাঁ হাতি। অন্য দিকে, টেকনিকে যথেষ্ট উন্নত, ধৈর্য্যশীল ও উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার মানসিকতার মুরলী বিজয়। উপমহাদেশে এই ওপেনিং জুটিটা কিন্তু পাকাপাকি হয়ে যেতে পারে। যেহেতু দু’জনই ভিন্ন ধরনের ব্যাটসম্যান, তাই এই জুটিটা ভাঙা বিপক্ষের বোলারদের পক্ষে বেশ কঠিন। শিখর যদি নিজের টেকনিকে আরও উন্নতি এনে বিদেশি উইকেটেও ভাল ব্যাটিংটা করে দিতে পারে, তা হলে কিন্তু ভারতের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি হয়ে উঠতে পারে এরা।
নেহাত বৃষ্টির জন্য খেলা বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ ছিল বলে দিনের শেষে ভারতের রানটা তিনশোর গণ্ডি পেরতে পারল না। না হলে সম্ভবত আরও বড় রান উঠত স্কোরবোর্ডে। জয়ের দিকে ভারত আরও কিছুটা এগিয়ে যেতে পারত।
ভারত (প্রথম ইনিংস)
২৩৯-০ (ধবন ব্যাটিং ১৫০, মুরলী ব্যাটিং ৮৯)