মেয়ে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবে। এর চেয়ে গর্বের কিছু হতে পারে না বলেই মনে করছেন রানি রামপালের বাবা। সংসার চালাতে এক সময় ঠেলা গাড়ি চালাতেন তিনি। সেই কষ্ট দূর করে, মেয়ে আজ ভারতের অধিনায়ক। পিতৃত্ব দিবসে এর চেয়ে ভাল উপহার আর কী হতে পারে?
মেয়ের সাফল্যে গর্বিত বাবা বলেন, “গোটা দেশ, শহর, পরিবার ওর জন্য গর্বিত। রানির জেদ ওকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। প্রতিটা মেয়ের উচিত নিজের কাজের মাধ্যমে দেশকে গর্বিত করা।” তবে রানির এই সাফল্যের পিছনে মূল কাণ্ডারি যে তাঁর প্রশিক্ষক, সে কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি তাঁর বাবা। বলদেভ সিংহের প্রশিক্ষণে হকি খেলা শুরু রানির। তাঁর বাবা বলেন, “পরিশ্রম আমার মেয়ের তবে কৃতিত্ব ওর গুরুর।”
অর্থ কষ্ট রানির সঙ্গী ছিল ছোটবেলা থেকেই। ঠিক মতো খাবারও জুটতো না। শরীর ঠিক মতো তৈরি না হওয়ায় হকি খেলতে পারবেন কি না সেই নিয়েই ছিল চিন্তা। এখন তিনিই ভারতীয় হকির রানি। বিশ্ব মঞ্চে ভারতের পতাকা উঁচিয়ে ধরার ভার তাঁরই কাঁধে।