অভিযুক্ত কর্তা ব্রিজভূষণ সিংহ। ছবি: পিটিআই
আগামী ৯ জুনের মধ্যে অভিযুক্ত কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষক নেতারা। শুক্রবার হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে মহাপঞ্চায়েত বসেছিল। তার শেষেই কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত হুমকি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। শুধু তাই নয়, যন্তর মন্তরে আন্দোলনে বসার কথাও বলেছেন তাঁরা।
এ দিন মহাপঞ্চায়েতের শেষে নেতা রাজেশ বলেন, “যদি আমাদের ৯ জুন যন্তর মন্তরে বসতে না দেওয়া হয়, তা হলে আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারি চাই আমরা। আর কোনও রকম আপসের রাস্তায় হাঁটতে রাজি নই। যদি ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার না করা হয়, তা হলে ৯ জুন যন্তর মন্তরে যাব। দেশ জুড়ে পঞ্চায়েত আয়োজন করা হবে। কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা এখনই প্রত্যাহার করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করতে হবে।”
কুরুক্ষেত্রে আলোচনায় বসা কৃষক নেতাদের মধ্যে কোনও একটি ব্যাপারে মতানৈক্য হয়। বেশ কিছু নেতাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। যদিও কী বিষয়ে ঝামেলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে।
তার আগে, আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে আবার সরব হয়েছেন ব্রিজভূষণ। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, “১৮ জানুয়ারি কুস্তিগিরেরা যখন যন্তর মন্তরের সামনে ধর্নায় বসলেন, তখন তাঁদের অভিযোগ ছিল এক রকম। কিছু দিন পর সেই দাবি পাল্টে গেল। আমি মহিলা কুস্তিগিরদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আমি কোথায়, কখন তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করেছি। কিন্তু কেউ আমাকে পরিষ্কার কোনও উত্তর দিতে পারেননি। কে কী বলছেন আমার বিরুদ্ধে, সেটা নিয়ে আমার কিছু যায়-আসে না।”
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ব্রিজভূষণ বলেন, “পুলিশ ব্যাপারটাকে বড় করে ফেলছে। যা হচ্ছে হোক, আমি সব সামলাতে তৈরি। আমাকে দয়া করে অযৌক্তিক প্রশ্ন করবেন না।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ হলে গলায় দড়ি দেবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিজভূষণ।