রোহিত শর্মা।—ফাইল চিত্র।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হওয়ার কথা ৮ জুলাই। ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ দিয়ে। কিন্তু ক্রিকেট ফিরলেও দর্শকরা কবে মাঠে ফিরবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছেই। অথচ ক্রিকেট খেলার বড় একটা অংশ যে দর্শক, তা বলেছেন অনেকেই। এ বার একই কথা শোনা গেল ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ রোহিত শর্মার মুখে। তিনি বলে দিলেন, দর্শকরাই তো বড় প্রেরণা।
একটি চ্যানেলে বৃহস্পতিবার রোহিত বলেন, ‘‘আপনি দর্শকদের প্রতিক্রিয়া না দেখা পর্যন্ত বুঝতেই পারবেন না যে ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছেন।’’ ভারতীয় ক্রিকেটাররা কবে আবার মাঠে নামার সুযোগ পাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দর্শকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশ পাওয়ার ব্যাপার তো আরও অন্ধকারে। রোহিত মনে করেন, যে কোনও ক্রিকেট ম্যাচে দর্শকদের একটা বড় ভূমিকা সব সময় থাকে।
ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটের সহ-অধিনায়ক এখনও একটা ম্যাচের কথা ভুলতে পারেননি। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের সেমিফাইনাল। রোহিত জানিয়েছেন, দলের সঙ্গে জয়োৎসব পালন করতে কী ভাবে সে-দিন হোটেলে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন সমর্থকেরা। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘হিটম্যান’ বলেছেন, ‘‘২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পরের ঘটনাগুলো এখনও ভুলতে পারিনি। আমাদের সমর্থকেরা সব হোটেলে চলে এসেছিল। সবাই উৎসবে মেতে উঠেছিল, নাচ করছিল। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, কী ঘটছে। এ রকম তো আমি আগে দেখিনি।’’
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার আনন্দটা ছিল মাত্রাহীন। হোটেলে ভারতীয় সমর্থকদের ও রকম উৎসব দেখার পরে রোহিত বুঝেছিলেন, একটা দলের কাছে সমর্থকেরা কত বড় প্রেরণা। রোহিতের কথায়, ‘‘মাঠে তো আমরা সমর্থকদের দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু সে দিন হোটেলে ওই ভাবে মেতে উঠতে দেখে আমি বুঝেছিলাম, একটা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ওদের ভালবাসা আর আবেগ কতটা কাজ করে।’’
আমরাই সেরা, বলছেন শামি: ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলিং আক্রমণ এখন ভারতের হাতে। এমনটাই মনে করেন সেই বোলিং বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মহম্মদ শামি। যে আক্রমণের অন্যরা হলেন যশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব এবং ভুবনেশ্বর কুমার। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে শামি বলেছেন, ‘‘সবাই নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, পাঁচ জন ফাস্ট বোলারের একটা প্যাকেজ কোনও দলের হাতে কখনও ছিল না। ক্রিকেট ইতিহাসে আমাদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণই সম্ভবত বিশ্বের সেরা।’’