ক্যালকাটা সাউথ ক্লাব। ফাইল চিত্র
সাউথ ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন এনরিকো পিপার্নো। একই সঙ্গে তিনি এই ক্লাবের সদস্যপদও ছেড়ে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, ক্লাবের কর্মী সংগঠনের চাপেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পিপার্নো। যদিও কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের কোনও চাপ ছিল না।
ভারতীয় টেনিস দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ও কোচ পিপার্নো দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই সাউথ ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। জানা গেল, তিনি এখনকার কর্মী সংগঠনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ, বীতশ্রদ্ধ। তাঁদের অভিযোগ, এখনকার কমিটির কাউকেই ক্লাবে ঢুকতে দিচ্ছে না কর্মী ইউনিয়ন।
সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কর্মী সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ বসু। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘উনি পদত্যাগ করেছেন কি না জানি না। করলে কেন করেছেন, তা-ও জানি না।’’ তাঁরা কর্তাদের ক্লাবে ঢুকতে দিচ্ছেন না— এই অভিযোগ নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, ‘‘সব সদস্যই ক্লাবে আসছেন। নিজেদের মতো কাজকর্ম করছেন। কারও তো কোনও অসুবিধে হচ্ছে না। আমাদের মূল অভিযোগ এনরিকো পিপার্নো, হীরালাল ভাণ্ডারি, ইন্দ্রদীপ মিত্রের বিরুদ্ধে।’’
দীর্ঘ দিন ধরেই ক্লাবে আন্দোলন করছেন কর্মচারীরা। সে কথা স্বীকার করে নিয়ে দিলীপ বললেন, ‘‘আমরা তো আর এমনি এমনি আন্দোলন করছি না। আমাদের এক কর্মীকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ আজ কয়েক মাস ধরে বসিয়ে রেখেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করেছেন কর্তারা। আমরা বার বার বলেছি, প্রমাণ দিতে হবে। না দিতে পারলে ওই কর্মীকে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে। একাধিক বার চিঠি দিয়েছি, মিটিং হয়েছে কর্তাদের সঙ্গে। কিন্তু আমাদের কথায় কর্ণপাত করা হয়নি। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে চুরির কোনও প্রমাণ আজ পর্যন্ত দিতে পারেননি ক্লাবকর্তারা। ফলে আমাদের আন্দোলন চলবে।’’
তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘কেউ যদি চুরি করে তা হলে নিজেই থানায় গিয়ে চিঠি দিয়ে বলবে যে, ‘আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু আমি নির্দোষ।’ ডিসি সাউথ এবং ভবানীপুর থানার ওসি-কে চিঠি দিয়ে এসেছেন আমাদের ওই কর্মী। ক্লাবে চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে।’’
ক্লাবের কয়েক জন সিনিয়র সদস্য এই ঘটনা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইলেন না। তাঁদের বক্তব্য, পিপার্নো এখনই সরে না গেলেই পারতেন। তাঁর সেটা করা উচিত হয়নি।