Sony Norde

Haiti Earthquake: সুরক্ষিত সনি নর্দে, তবু ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া হাইতির জন্য মন খারাপ প্রাক্তন মোহনবাগানীর

২০১০ সালের ভূমিকম্পের রেশ এখনও ওঁর দেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে আরও এক বার ভূমিকম্পের দাপট। হাইতির একাধিক জায়গা এখন ধ্বংসস্তূপ। স্বভাবতই হতাশ সনি নর্দে।

Advertisement

সব্যসাচী বাগচী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২১ ১০:১৯
Share:

সনি নর্দে। ফাইল ছবি

২০১০ সালের ভূমিকম্পের রেশ এখনও ওঁর দেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে আরও এক বার ভূমিকম্পের দাপট। হাইতির একাধিক জায়গা এখন ধ্বংসস্তূপ। স্বভাবতই হতাশ সনি নর্দে।

Advertisement

মালয়েশিয়ার মেলাকা ইউনাইটেডে খেলার সুবাদে এই মুহূর্তে সেই দেশেই রয়েছেন সনি। সঙ্গে রয়েছেন মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান। তবে ওঁর মন ভাল নেই। আনন্দবাজার অনলাইনকে সেটাই জানালেন মোহনবাগানের এই প্রাক্তন ফুটবলার।

সনি বলেন, “ঈশ্বরের কৃপায় আমার পরিবারের সবাই ভাল আছে। মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান মালয়েশিয়াতেই আমার সঙ্গে রয়েছে। দিদা, ভাই ও বোন হাইতিতে রয়েছে। ওদের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা হয়েছে। সবাই সুস্থ আছে। বাড়ির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।”

Advertisement

ধ্বংসস্তূপ হাইতি। ছবি রয়টার্স

ভেঙেছে অগণিত ঘরবাড়ি। ছবি রয়টার্স

হাইতির রাজধানী পোর্ত-অউ-প্রিন্সে সনির বাড়ি। সেখানে ভূমিকম্প টের না পাওয়া গেলেও দেশের পশ্চিমপ্রান্ত কেঁপে ওঠে। মারা গিয়েছেন অগণিত মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরি এখনও জানা যায়নি। সনি বলছিলেন, “পরিবার সুরক্ষিত থাকলেও অনেক পরিচিত মানুষ ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয়েছেন। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফলে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।”

উত্তর অতলান্তিকের গা ঘেঁষে অবস্থিত হাইতি ভূমিকম্প-প্রবণ বলেই পরিচিত। এ ছাড়াও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে সেখানে। ২০০২, ২০০৩, ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে পরপর ভয়াবহ বন্যা হয় সেখানে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়। উত্তর গোলার্ধের অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতি। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং বহু দেশ বিভিন্ন সময়ে বিপুল অনুদান দিলেও সেখানকার আর্থিক পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।

এর পর ২০১০ সালে ভূমিকম্প হয়। তারপর হাইতির দক্ষিণাঞ্চলে হারিকেন ম্যাথিউ আছড়ে পড়ে। সেই ধাক্কাও এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সাফ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হাজার হাজার মানুষকে পুনর্বাসন পর্যন্ত দিতে পারেনি সে দেশের সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement