ইমরান খান। ফাইল ছবি
ইমরান খানের হস্তক্ষেপেও সমস্যার সমাধান হয়নি। একেবারে শেষ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ড তাদের পাকিস্তান সফর বাতিল করে দেয়। প্রথম একদিনের ম্যাচের টস হওয়ার কিছুক্ষণ আগে নিউজিল্যান্ড জানিয়ে দেয়, তারা পাকিস্তান সিরিজ খেলতে পারবে না। নিউজিল্যান্ড সরকারের কাছে খবর আসে, পাকিস্তানে নিউজিল্যান্ডের খেলাটা একেবারেই নিরাপদ নয়। তারপরেই সিরিজ বাতিল হয়। খোদ পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাকিন্ডা আর্ডেনকে ফোন করেন। অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা করেন, নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু তাতেও খেলতে রাজি হয়নি নিউজিল্যান্ড। আইসিসি-র সভায় নিউজিল্যান্ডকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে বলে, ‘পাক বোর্ড এবং পাকিস্তান সরকার নিউজিল্যান্ডের জন্য নিরাপত্তার যাবতীয় বন্দোবস্ত করেছিল। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। পিসিবি সূচি অনুযায়ী খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ড এক তরফা ভাবে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওদের এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানী সমর্থকরা বঞ্চিত হলেন।’
নিউজিল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তের জন্য তাদের উপর বেজায় চটেছেন শোয়েব আখতার ও শাহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারই একহাত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডকে। আফ্রিদি টুইট করেন, ‘যাবতীয় আশ্বাস স্বত্ত্বেও একটা ভুয়ো তথ্যের ভিত্তিতে সিরিজ বাতিল হয়ে গেল। নিউজিল্যান্ড কি জানে তাদের এই সিদ্ধান্তের ফল কী হতে পারে।’ শোয়েব টুইট করেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটকে খুন করল নিউজিল্যান্ড।’
পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক রামিজ রাজা সদ্য পাক বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ক্রিকেটার ও সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সিরিজ বাতিলের এক তরফা সিদ্ধান্ত অত্যন্ত হতাশাজনক। নিউজিল্যান্ড কোন দুনিয়ায় বাস করছে? আইসিসি-র সভায় আমরা নিউজিল্যান্ডকে ছেড়ে কথা বলব না।’’
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও অখুশি নিউজিল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তে। তিনি টুইট করেন, ‘সিরিজ হঠাৎ ভেস্তে যাওয়ায় আমি অত্যন্ত অখুশি। লক্ষ লক্ষ পাকিস্তানী সমর্থকের মুখে হাসি ফোটাত এই সিরিজ। আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ওরা সবসময়ই আমাদের দেশের গর্ব।’