ইউরো মাতাতে তৈরি রোনাল্ডো। ফাইল ছবি
আর ঠিক ৯ দিনের অপেক্ষা। তারপরেই বসতে চলেছে ইউরো কাপের আসর, আকারে-বহরে যাকে ‘মিনি বিশ্বকাপ’ বললেও অত্যুক্তি হবে না। গত বছর এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছিল এক বছর। এখনও পৃথিবী পুরোপুরি করোনামুক্ত না হলেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তার প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। ফলে এবার আর প্রতিযোগিতা পিছনোর ঝুঁকি নেননি আয়োজকরা।
১১ জুন, শুক্রবার রোমে ইটালি বনাম তুরস্কের ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে চলেছে এবারের ইউরো। এবারই প্রথম ১২টি দেশের ১২টি শহরে হবে খেলা। গোটা ইউরোপে এই প্রতিযোগিতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতি বারই ইউরো থেকে উঠে এসেছে একাধিক ফুটবলার, পরবর্তীকালে যারা বিশ্বমঞ্চে দাপট দেখিয়েছেন। আবার অনেক বুড়ো ঘোড়ার কাছেও এই প্রতিযোগিতা নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সে রকমই তিন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা করা হল:
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (পর্তুগাল)
বিশ্বের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে দেশের হয়ে ১০০-র বেশি গোল করেছেন রোনাল্ডো। ইউরো তাঁর কাছে নজির গড়ার মঞ্চ হতে পারে। আর ৭টি গোল করলেই আলি দায়িকে পেরিয়ে দেশের হয়ে গোল করার নিরিখে সবার উপরে উঠে আসবেন। পাশাপাশি, দেশকে টানা দ্বিতীয় বার ইউরো দেওয়াও তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। পর্তুগালে দল যে রকম শক্তিশালী, তাতে টানা দু’বার ট্রফি জিতলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স)
২০১৮ বিশ্বকাপ তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো কেটেছিল। ফাইনালে জোড়া গোল করেছিলেন। পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হয়ে ভেঙেছিলেন পেলের রেকর্ড। বিশ্বকাপের স্বাদ আগেই পেয়েছেন। এবার এমবাপের কাছে লক্ষ্য ইউরো কাপ হাতে নেওয়া। ফ্রান্সের আক্রমণভাগে অন্যতম সেরা অস্ত্র তিনিই।
মার্কাশ র্যাশফোর্ড (ইংল্যান্ড)
প্রতিবার আশা জাগিয়েও ট্রফি জয়ের অনেক আগে থেমে যায় ইংল্যান্ডের দৌড়। বিশ্বকাপেও তাই হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর যদি তাদের ইউরো কাপ জেতানোর মতো কোনও ফুটবলার এসে থাকেন, তিনি মার্কাস র্যাশফোর্ড। ক্লাব এবং দেশের হয়ে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। এবার ইউরোয় প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটানোর অপেক্ষায়।
এতগুলি দেশের এত ফুটবলারের মধ্যে থেকে সেরা তিন বেছে নেওয়া সহজ নয়। তাই আরও যাঁদের দিকে নজর থাকবে তাঁরা হলেন: কেভিন দ্য ব্রুইন, থিবো কুর্তোয়া (বেলজিয়াম), ফিল ফোডেন (ইংল্যান্ড), ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি (ইটালি), করিম বেঞ্জেমা (ফ্রান্স), বার্নার্দো সিলভা (পর্তুগাল)।