— ছবি সংগৃহীত
নতুন সহস্রাব্দে ইউরোয় ২০০৮ ও ২০১২, পর পর দু’বার চ্যাম্পিয়ন স্পেন। কিন্তু পাঁচ বছর আগে স্পেনের সেই ইউরোপ জয়ী দলের গরিমা ধাক্কা খেয়েছিল ইটালির কাছেই। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের ২-০ হারিয়েছিল ইটালি। এ বার তারাই ফাইনালে ওঠার পথে বাধা স্পেনের সামনে। এ বার রবের্তো মানচিনির দলকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে চাইছে স্পেন।
সেমিফাইনালের মহারণের আগে স্পেনের আক্রমণ ভাগের ফুটবলার ওইয়ারহাবালের হুঙ্কার, ‘‘প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই আমরা দলবদ্ধ ভাবে একটাই স্বপ্ন দেখছি। তা হল ইউরো জিতে দেশে ফেরা। আমাদের দলের একতা ও শক্তি কতটা তার প্রমাণ দিয়েছি গত ম্যাচগুলোতে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ইটালি বেশ ভাল দল। দুর্দান্ত সব ফুটবলার রয়েছে ওদের দলে। দুরন্ত ছন্দেও রয়েছে ওরা। কিন্তু ইটালি যেন ভুলে না যায়, আমরা ওদের চেয়ে কোনও অংশে কম নই।’’
এ বার ইউরোয় স্পেন কোচ লুইস এনরিকের দলে জায়গা হয়নি ডিফেন্ডার সের্খিয়ো র্যামোসের। স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকার প্রতিক্রিয়া, ‘‘ইটালি জানে এই ধরনের ম্যাচ কী ভাবে খেলতে হয়। সঙ্গে আমরাও জানি কী ভাবে ইটালির মতো দলকে কোণঠাসা করতে হবে। আশা করছি একটা দুর্দান্ত সেমিফাইনাল ম্যাচ উপহার দেবে বন্ধুরা।’’
তবে এরই মধ্যে দুঃসংবাদ স্পেন শিবিরে। চলতি ইউরোয় দলের আক্রমণ ভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পাবলো সারাবিয়ার খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে কুঁচকিতে চোট পান তিনি। স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, পেশিতন্তু ছিঁড়েছে সারাবিয়ার। সে কারণে সেমিফাইনালে তিনি নাও খেলতে পারেন। এ দিন অনুশীলনে ছুটি দিয়েছিলেন স্পেন কোচ। ফলে সারাবিয়াকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সোমবার।
যদিও স্পেন শিবির বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নয়। ওইয়ারহাবালের কথায়, ‘‘কোচ যদি আমাকে শুরু থেকে খেলতে বলেন, তা হলে আমি তৈরি। আমাদের দলের সবাই মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছে। কোচ যাকে সুযোগ দেবেন, সেই মাঠে নেমে নিজেকে নিংড়ে দেবে।’’