রবের্তো মানচিনি ও লুইস এনরিকে। ফাইল চিত্র।
ইউরো ২০২০-র সেমিফাইনালে আজ, মঙ্গলবার স্পেনের বিরুদ্ধে নামছে ইটালি। সারা বিশ্বের নজর এই ম্যাচে।
ইউরোর মহারণে নামার আগে ইটালীয় কোচ রবের্তো মানচিনি জানিয়ে দিয়েছেন, স্পেনকে সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছেন না। প্রতিপক্ষ যদি পাসিং ফুটবলে বিশ্বাসী হয়, ইটালি নিজের ঘরানার ফুটবলে ভরসা রেখেই খেলতে নামবে। স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে আবার হুঙ্কার দিয়েছেন, তাঁর দলই ইউরোপের সেরা। বিপক্ষ নিয়ে কোনও রকম দুশ্চিন্তা নেই তাঁর।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে মানচিনি বলেছেন, ‘‘শেষ ২০ বছরে ফুটবলবিশ্ব শাসন করেছে স্পেন। মনে হয় না, ওরা নিজেদের খেলার ধরন পাল্টাবে।’’ তাঁর ইঙ্গিত স্পেনের জনপ্রিয় তিকি-তাকা ফুটবলের দিকেই। মানচিনির কথায়, ‘‘লুইস এনরিকে অনেক বড় কোচ। ওর রণনীতি সম্পর্কে আমরাও ওয়াকিবহাল। ওদের খেলার বিশেষ একটা পদ্ধতি আছে। সেটা ধরে রেখেই সফল স্পেন।’’
তবে ইটালির খেলার পদ্ধতিও এখন অন্য ধরনের। মানচিনি বলেছেন, ‘‘আমরা নিজেদের পদ্ধতি মেনেই খেলব। হঠাৎ করে তো স্পেনীয় ফুটবলে ঝুঁকে পড়তে পারব না। আমরা যে ভাবে খেলেছি, সেটাই খেলব।’’
মানচিনি জানিয়েছেন, তাঁর দল স্নায়ুর চাপে না ভুগলেও তিনি কিছুটা চাপে রয়েছেন। বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ম্যাচের আগে চাপ তো থাকেই। সেটাই মজার। কিক-অফ হওয়ার পরেই চাপটা কাটতে শুরু করে। স্পেনের মতো বড় দলের বিরুদ্ধে লড়াইটা আমরা উপভোগ করতে চাই। আশা করি, সফল হয়েই মাঠ ছাড়ব।’’
স্পেনের স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা ও ইটালীয় ডিফেন্ডার লিয়োনার্দো বোনুচ্চি দুই বন্ধু। খেলেন জুভেন্টাসে। মঙ্গলবারের দ্বৈরথে সেই বন্ধুত্ব কি খেলায় কোনও প্রভাব ফেলবে? সাংবাদিক সম্মেলনে উড়ে আসা এমনই প্রশ্নের জবাবে বোনুচ্চি বলেছেন, ‘‘মোরাতা খুব ভাল ফুটবলার।আমার খুব পছন্দের বন্ধুও। অনেকের বিরুদ্ধেই সমালোচনা হয়। ওর বিরুদ্ধেও হয়েছে। তবে ও নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছে গোল করে। এর বাইরে আর কোনও বিষয় নেই। দুজনেই খেলব দেশের হয়ে। চাইব সেরা ফুটবল উপহার দিতে।’’
স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে জানিয়েছেন, সেরা চার দলের মধ্যে তাঁর দলই শ্রেষ্ঠ। বলেছেন, ‘‘শেষ আটের ম্যাচের সময় বলেছিলাম, আমাদের দল ইউরোপের সেরা আট দলের অন্যতম। আজ বলছি, সেরা চার দলের মধ্যে আমরা অন্যতম। বলা যেতে পারে শ্রেষ্ঠ। অন্তত কোচ হিসেবে আমি তাই মনে করি।’’
এনরিকে জানিয়েছেন, কোচ যদি ফুটবলারদের বন্ধু হয়ে উঠতে না পারলে, সেই দল কখনও নিজেদের সেরা খেলা উপহার দিতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেক ফুটবলার আমার বন্ধু। ওদের সঙ্গে ফুটবলের কথার পাশাপাশি জীবনের সব রকমের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। এ ভাবেই তো আপন হয়ে ওঠা যায়।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমি যদি ওদের সঙ্গে মিশে যেতে না পারি, তা হলে আমার জন্য ওরা কেন নিজেদের সেরাটা দেবে? আমি অন্তত এ ভাবেই বিষয়টা দেখি।’’
এনরিকে জানিয়েছেন, স্পেন এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ইউরোপ সেরা হওয়ার কথাই ভাবছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই জায়গায় এসে যদি জেতার কথা না চিন্তা করি, তা হলে সেটা অপরাধ হবে। স্পেন ইউরো জেতার জন্যই ঝাঁপিয়ে পড়বে।’’