ইংল্যান্ডের অনেক ক্রিকেটারনিজেদের টি-টোয়েন্টি ফর্ম যাচাই করে নিতে। পাকিস্তানের লক্ষ্য হবে, এই ধরনের সিরিজকে কাজে লাগিয়ে তরুণ রক্তদের নিয়ে নতুন দল গড়ে তোলা।
প্রথমেই ইংল্যান্ড, পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ধন্যবাদ দিতে চাই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার জন্য। অতিমারির এই কঠিন পরিস্থিতিতে মাঠে ফেরার জন্য বিরাট শৃঙ্খলা এবং নিজেদের উপর অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার।
কোভিড-১৯ নিয়ে অনেক বিধিনিষেধ তৈরি হয়েছে। তার উপর ক্রিকেটারেরা দীর্ঘ দিন ব্যাট-বলের সঙ্গে সম্পর্কহীন ছিল। কিন্তু ক্রিকেট ফেরার পর থেকে এখনও পর্যন্ত যে ছ’টি টেস্ট আমরা দেখেছি, সেগুলোর মান কিন্তু বেশ ভাল ছিল। সেরা খেলোয়াড়দেরও এত দিন মাঠের বাইরে থাকার পরে একটা নির্দিষ্ট সময় লাগে ছন্দে ফিরতে। সেটা মাথায় রেখেই মনে হচ্ছে, আজ, শুক্রবার থেকে শুরু ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আরও উত্তেজক ক্রিকেট দেখতে পাব।
ইংল্যান্ডের অনেক ক্রিকেটার আইপিএলে খেলবে। তারা চাইবে, নিজেদের টি-টোয়েন্টি ফর্ম যাচাই করে নিতে। পাকিস্তানের লক্ষ্য হবে, এই ধরনের সিরিজকে কাজে লাগিয়ে তরুণ রক্তদের নিয়ে নতুন দল গড়ে তোলা। এমন একটি দল, যা বিশ্ব মঞ্চে তাদের দেশকে গর্বিত করবে। সকলের নজর থাকবে বাবর আজমের উপর। সব ধরনের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার দাবিদার বাবর। পাকিস্তান দলটায় তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার ভাল মিশ্রণ রয়েছে। ওদের দরকার ধারাবাহিকতা।
ইংল্যান্ড মোটামুটি ভাবে আলাদা একটা দল খেলাচ্ছে সাদা বলের ক্রিকেটে। বেন স্টোকস আর জস বাটলার ছাড়া টেস্ট দলের অন্য কোনও সদস্যকে কুড়ি ওভারের দলে দেখতে পাব বলে মনে হয় না। ভাবনাটা বেশ ভাল লেগেছে। আমি সব সময় ফর্ম্যাট অনুযায়ী দল গঠনে বিশ্বাস করে এসেছি এবং মনে হয়, অদূর ভবিষ্যতে অনেক দল ইংল্যান্ডের পথে হাঁটবে।
নিজেদের দেশে, চেনা পরিবেশে, বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান থাকায় ইংল্যান্ডই হয়তো ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে। তবে পাকিস্তান এমন একটা দল, যাদের কখনও হাল্কা ভাবে নেওয়া যায় না। মনে হচ্ছে, খুব উত্তেজক একটা সিরিজ অপেক্ষা করছে আমাদের সকলের জন্য।