রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সফরের নিরাপত্তা নিয়ে দ্বিধায় ছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবে বলেও জানিয়েছিল তারা। আর তখনই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশ সফরে আসবে কি না।
তাই বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১৭ অগস্ট ঢাকায় আসে ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রতিনিধি দল। তিন সদস্যের দলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ২০ অগস্ট ঢাকা ছেড়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত সব শঙ্কা কেটে গিয়েছে। বাংলাদেশ সফরে আসছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করেছে, ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর পরিকল্পনা মতই এগিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার রাতেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে ইংল্যানেড।
এদিন রাতে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক, ওয়ানডে ও টি২০ অধিনায়ক মরগ্যান, ইসিবির ক্রিকেট পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, ইসিবির প্রধান টম হ্যারিসন আলোচনায় বসেন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেভিড ল্যাথারডেল ও জন কারও। সভায় বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান রেগ ডিকাসন।
সভা শেষে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বলেন, ‘‘ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর পরিকল্পনা মতোই এগিয়ে যাবে।’’ অবশ্য সিরিজের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখবেন তাঁরা।
দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। দিন-তারিখও ঠিক হয়েছে। ৭ ও ৯ অক্টোবর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম দু’টি ওয়ান ডে ম্যাচ হবে। তৃতীয় ওয়ান ডেটি হবে ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে।
এর পর ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট এবং ঢাকায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
আরও খবর
মাশরাফির আবেদনে কি মন গলবে মরগ্যানদের