বরদলৈ ট্রফির সাফল্যের উপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গলের খেলতে যাওয়া। গুয়াহাটিতে ভাল রেজাল্ট করলে তবেই বাংলাদেশে টিম পাঠাবেন বলে ঠিক করেছেন লাল-হলুদ কর্তারা। যে কারণে ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র, এমনকী অ্যাকাডেমির ফুটবলাররাও এখন মাঠে নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া।
যদিও বরদলৈয়ের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশেরই ক্লাব বঙ্গবীরকে নাস্তানাবুদ করে ছয় গোলে হারিয়েছেন ডং-রা। তবে শনিবার পরের ম্যাচে ইউনাইটেড সিকিমের বিরুদ্ধে নামার আগে লাল-হলুদ শিবিরের সবাই যেন বেশ সাবধানী। এমনিতে সিকিমের টিমকে হারাতে পারলেই ইস্টবেঙ্গলের বরদলৈ সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর সেটাই এখন লক্ষ্য ডংদের।
এক দিনের ব্যবধানে খেলতে হচ্ছে লাল-হলুদকে। তাই আজ মাঝের দিনটা প্রথম একাদশের ফুটবলাররা শুধু সাঁতার কাটলেন। বাকি টিম সকালে প্র্যাকটিস করল। সিকিমের বিরুদ্ধে টিমে কিছু পরিবর্তন করতে পারেন কোচ রঞ্জন চৌধুরী। লুইস ব্যারেটোর জায়গায় দিব্যেন্দু সরকারকে গোলে খেলাতে পারেন। ডংয়ের সঙ্গে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে নামাতে পারেন ক্লাবের অ্যাকাডেমির মণিপুরী ফুটবলার ইয়ামি-কে।
এ দিকে, বরদলৈতে ইস্টবেঙ্গল পরিবর্তিত নামে (‘ইস্টবেঙ্গল সভাপতি একাদশ’) খেলছে বলে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে গুয়াহাটিতে। সূত্রের খবর, টুর্নামেন্ট আয়োজকদেরই কেউ কেউ নাকি সেই বিতর্কে ইন্ধন দিচ্ছেন। তবে লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ‘‘আমরা টুর্নামেন্ট আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেই বরদলৈতে টিম পাঠিয়েছি। বিতর্কের কোনও প্রশ্ন নেই। এই বিষয় কে কী বলল তা নিয়ে ভাবছি না।’’
শনিবার শহরে ইস্টবেঙ্গল কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। যেখানে ঠিক হতে পারে, এ বছর লাল-হলুদের টানা সপ্তম বার কলকাতা লিগ জয় প্রয়াত কোচ অমল দত্তকে উৎসর্গ করা হবে কি না!
শনিবার বরদলৈ ট্রফি—ইস্টবেঙ্গল : ইউনাইটেড সিকিম (গুয়াহাটি, ৭-০০)।