ইস্টবেঙ্গল ১
থ্রি স্টার নেপাল ২
জোড়া লাল কার্ড, ইনজুরি সময়ে গোলশোধ, অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ম্যাচ গড়ানো— উত্তেজক ম্যাচের সব বারুদই মজুত ছিল। শুধু দেখা যায়নি, ইস্টবেঙ্গলের জেতার নাছোড় ভাবটুকু। যার নিটফল, মরসুমের দু’নম্বর ট্রফিটা ইস্টবেঙ্গলে এল না।
শুক্রবার গুয়াহাটিতে বরদলৈ ট্রফির ফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকে ডু ডংরা যে ভাবে একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন, তার খেসারতই ম্যাচ হেরে দিতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। কলকাতা লিগ থেকে টানা ম্যাচ জিতে চলেছিল ইস্টবেঙ্গল। উদ্দাম গতিতে ছুটে চলা লাল-হলুদের সেই জয়ের ঘোড়াকে আটকাল নেপালের টিম। যে নেপালের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের পরিসংখ্যান বেশ ভাল, সেই দেশের টিমের কাছেই মহালয়ার মতো শুভ দিনে হেরে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হল প্রহ্লাদ-জিতেনদের। এ দিন নেপালের টিমের বিরুদ্ধে গোল পেতে ইস্টবেঙ্গলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় ৮৪ মিনিট পর্যন্ত। আদিলেজার গোলে ১-০ এগিয়ে যাওয়ার পর সবাই ধরেই নিয়েছিল ষষ্ঠ বার এই ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলই। কিন্তু ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে দিব্যেন্দুর একটা ভুলে পুরো ম্যাচের রং-ই বদলে যায়। বল গ্রিপ করতে গিয়ে সেটা হাত থেকে ফস্কে যায় লাল-হলুদ কিপারের। সেই বলই গোলে ঢুকিয়ে সমতা ফেরায় দেবেন্দ্র তামাং। ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গলের স্টপগ্যাপ কোচ রঞ্জন চৌধুরী গুয়াহাটি থেকে ফোনে বলছিলেন, ‘‘জেতা ম্যাচটা হেরে ফিরতে হল, খারাপ তো লাগবেই। সবাই খুব হতাশ। একটা ভুলেই সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। তবে আমি ছেলেদের পারফরম্যান্সে খুশি।’’
নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ শেষ হলে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত খেলা গড়ায়। আর অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই নেপালের টিম ২-১ এগিয়ে যায়। যে গোলশোধ করতে পারেননি ডং-আদিলেজারা। এর মধ্যে আবার সামাদ আলি মণ্ডল নেপাল টিমের এক ফুটবলারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে লালকার্ড দেখেন। নেপালের ফুটবলারটিকেও লালকার্ড দেখান রেফারি। রঞ্জন বলছিলেন, ইস্টবেঙ্গল পর পর দু’টি গোল খেয়ে যাওয়ায় মানসিক ভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছিল। হয়তো সে জন্যই পরে আর গোলশোধ করতে পারেনি ডংরা। এ দিকে গুরুতর অসুস্থ কালাম অ্যাঙ্গাস। প্রবল জ্বরে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন তিনি। হোটেলের ঘরেই তাঁকে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। চিকিৎসকরা সন্দেহ করছেন ডেঙ্গি।