পুরনো ক্লাবে কি ফিরবেন অ্যাকোস্টা? ফাইল ছবি।
খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলকে বাঁচানোর জন্য কি ফের লাল-হলুদ-এর রক্ষণে ফিরছেন কোস্তারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টা?
সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকর্তারা কথাবার্তা বলেছেন অ্যাকোস্টার সঙ্গে। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা ডিফেন্ডারও পুরনো ক্লাবে ফিরতে রাজি। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকোস্টার স্ত্রী ও ছেলের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। সেই পোস্টের পরেই কোস্তারিকান ফুটবলারকে নিয়ে বেড়ে যায় জল্পনা। জনি অ্যাকোস্টার স্ত্রী ও ছেলের সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ইস্টবেঙ্গলের লোগোর সঙ্গে লেখা, “কামিং সুন।”
অ্যাকোস্টাকে দলে পেতে আগ্রহী লাল-হলুদ ক্লাবকর্তারাও। রাশিয়া বিশ্বকাপের পরে অ্যাকোস্টাকে সই করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ডার্বি ম্যাচে তিনি গোলও করেছিলেন। কিন্তু আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজ তাঁকে চলতি মরসুমের জন্য ভাবেননি। দুঃসময়ে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ সামলানোর জন্য অ্যাকোস্টাকে দলে ফেরাতে চাইছেন ক্লাবকর্তারা।
আরও পড়ুন: কিউয়িদের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশের ফলে দল থেকে বাদ পড়তে পারেন এই ক্রিকেটাররা
কিন্তু অ্যাকোস্টাকে নিয়ে সমস্যা অন্য জায়গায়। তিনি খেলবেন কার জায়গায়? ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ক্রেসপি মার্তিকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন মারিয়ো রিভেরা। আইজলের বিরুদ্ধে ম্যাচে মার্তিকে আঠেরো জনের দলেও রাখেননি মারিয়ো। সূত্রের খবর, ডিফেন্ডারের পরিবর্তে তিনি চান ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
বেশ কয়েক জন ফুটবলারের নামও তিনি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের কাছে। বেশ কয়েক জন ফ্রি প্লেয়ারের নাম জানিয়েছেন মারিয়ো। কিন্তু নতুন ফুটবলারকে নেওয়া হবে কার জায়গায়? ক্রেসপিকে ছেড়ে দেওয়া না হলে কাউকেই আনা সম্ভব নয়। খেলায় এখন মন নেই হাইমে কোলাডো স্যান্টোসের।
মাঠের ভিতরে তিনি মেজাজ হারাচ্ছেন। তাঁর উপরে মোহভঙ্গ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক থেকে কর্তাদের। কিন্তু কোলাডোকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভবও নয়। কারণ তাঁর সঙ্গে বড় চুক্তি রয়েছে ক্লাবের। তাই কোলাডোকে ছেড়ে দিতে গেলে ক্ষতিপূরণ বেশি দিতে হবে। ক্লাব সূত্রে খবর, ক্রেসপিকে সরানোর উপায় খোঁজা হচ্ছে। মার্কোস এসপারার উপরে মোহভঙ্গ হলেও তিনি গোল করছেন। ফলে তাঁকে হয়তো সরানো হবে না।
মাঠের ভিতরে খারাপ সময় চলছে ইস্টবেঙ্গলের। মাঠের বাইরে প্লেয়ার পরিবর্তন নিয়েও বিড়ম্বনায় লাল-হলুদ।
আরও পড়ুন: ফাইনালে ঝামেলা করা ক্রিকেটারদের কড়া শাস্তি দিক বোর্ড, চাইছেন কপিল-আজহাররা