প্রতীকী ছবি
লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ। চব্বিশ ঘণ্টা আগেই ক্রীড়া স্বত্ব ফিরে পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ সমর্থকদের এখন যাবতীয় আগ্রহ, ক্লাবের নতুন বিনিয়োগকারী কারা হবে? আগামী মরসুমে আইএসএলে খেলা হবে কি?
ইস্টবেঙ্গলের অন্দরমহলে শুক্রবার বিকেল থেকেই আইএসএলে খেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, দেশের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় ইস্টবেঙ্গল খেলবে। জানা গিয়েছে, একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ভিডিয়ো গেম প্রস্তুতকারক সংস্থা এ বার গাঁটছড়া বেঁধেছে আইএসএলের সঙ্গে। লিয়োনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের সঙ্গে সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণদেরও দেখা যাবে ভিডিয়ো গেমসে। এই কারণেই ১০ অগস্টের মধ্যে সব ক্লাবকে তাদের তিন ধরনের জার্সি (হোম, অ্যাওয়ে এবং নিরপেক্ষ) জমা দিতে বলা হয়েছে আইএসএলের তরফে। অর্থাৎ, আর এক মাসও হাতে নেই লাল-হলুদ কর্তাদের।
ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ভরসা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসবাণী। কিছু একটা পথ বেরোবে বলেই তাঁদের বিশ্বাস। তবে বাণিজ্য মহলের মত, লগ্নিকারী এলে তাদের মতামতকে প্রাধান্যও দিতে হবে। সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া সংস্থা বিদায়বেলায় অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছে, লাল-হলুদ কর্তাদের সব ব্যাপারে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করা নিয়ে। কারও কারও কথায়, ‘‘যারা লগ্নি করবে, তারা চাইবে যেন তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’’
এই পরিস্থিতিতে শনিবার ফের আলোচনায় বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। মূল বিষয় ছিল, ১ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল দিবস পালনের রূপরেখা প্রস্তুত করা। করোনার কারণে এ বার সংক্ষেপে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই দেওয়া হচ্ছে না ‘ভারত গৌরব’ সম্মানও। তবে ইস্টবেঙ্গলকে জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন করা দুই কোচ সুভাষ ভৌমিক ও মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।