মোহনবাগানকে হারিয়ে উল্লসিত ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেটাররা সিএবি
ফুটবলে প্রথমবার আইএসএলের মঞ্চে খেলতে নেমে দুবারই এটিকে মোহনবাগানের কাছে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ক্রিকেটেও তেমন ভাল কিছু করে উঠতে পারেনি লাল হলুদ ক্লাব। তবে এবার মোহনবাগানকে ১০ রানে হারিয়ে জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভবানীপুর ক্লাব।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় রানের জুটি গড়েন সায়ন শেখর মণ্ডল (৪৪) ও অঙ্কুর পাল (২৯)। সায়ন যখন আউট হন তখন ইস্টবেঙ্গলের রান ৭৫। এরপর রণজোত সিংহ (২৬) ছাড়া কেউই দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। সোহম সরকার আউট হন ২ করে, শুভম চট্টোপাধ্যায় করেন ৮, অর্ণব নন্দী ৯ করে সাজঘরে ফেরেন। ১৫৪ রানে শেষ হয় লাল হলুদের ইনিংস।
মোহনবাগানের হয়ে ভাল বল করেন সায়ন ঘোষ। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, রাজকুমার পাল ও জেসল কাড়িয়া একটি করে উইকেট পান।
শক্তিশালী মোহনবাগানের সামনে লক্ষ্য খুব বড় ছিল না। তবে শুরু থেকেই উইকেট খোয়াতে থাকায় কাজটা কঠিন হয়ে যায়। বিবেক সিংহ ৩৫ রান করে আউট হলেও ভাল খেলতে পারেননি সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (১১), অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার (৮), দেবব্রত দাস (১৩), ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় (১৬), রাজকুমার পাল (৮), অয়ন ভট্টাচার্য (০)-রা। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জেসল কাড়িয়া (২২)। রবিকান্ত সিংহ, সুরজ সিংহ জয়সওয়াল ও সোহম ঘোষ ৩টি করে উইকেট তুলে নেন। অধিনায়ক অর্ণব নন্দী পান একটি উইকেট। মোহনবাগানের ইনিংস শেষ হয় ১৪৪ রানে। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন সোহম ঘোষ।
অপর সেমিফাইনালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে তপন মেমোরিয়ালকে ৬ রানে হারিয়ে দেয় ভবানীপুর ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করে ১৫০ রান তোলে ভবানীপুর। জবাবে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় তপন মেমোরিয়ালের ইনিংস।