বিরোধীদের দাবি শুনতে চাইলেন নীতু।
ইস্টবেঙ্গল তাঁবুর বাইরে বুধবার দুপুর থেকে ‘গো ব্যাক নিতুদা’, ‘নিতু সরকার ক্লাব ছাড়’ শ্লোগান। সেই ‘নিতুদা’ দেবব্রত সরকার বিরোধীদের এই আন্দোলনকে স্বাগত জানালেন।
দুপুর থেকে উত্তপ্ত হওয়া পরিস্থিতি বিকেলে কিছুটা শান্ত হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী সমিতির সদস্য দেবব্রত বিরোধী গোষ্ঠীর আন্দোলন নিয়ে বললেন, ‘‘প্রথমত আমি মনে করি না, দুটো গোষ্ঠী আছে। পরিচয় একটাই, সবাই ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। কিন্তু আন্দোলন বা বিক্ষোভের একটা পদ্ধতি আছে। যাঁরা বাইরে আন্দোলন করেছেন, তাঁদের যদি কিছু বলার থাকত, তাহলে ক্লাবে এসে আমাদের বলতে পারতেন। আমরা তো ২২ মার্চ বলে দিয়েছি, প্রাক্তন খেলোয়াড়, সভ্য, সমর্থক, যে কেউ ক্লাবে এসে চুক্তিপত্র দেখে যেতে পারেন।’’
এরপর তিনি বলেন, ‘‘একটা বিষয় ভাল লাগল। গত নয় বছর ধরে ক্লাবের নির্বাচনে কোনও বিরোধী প্রার্থী ছিল না। আমার মনে হয়, যদি এখন একটা বিরোধী গোষ্ঠী তৈরি হয়, আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। আগামী দিনে এই গোষ্ঠীর পরামর্শ ক্লাবের কাজে লাগতেই পারে। সেই পরামর্শ আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। তাই আবার বলছি, ক্লাবে আসুন, আলোচনা করুন। সুন্দর ভাবে সমস্যার সমাধান হবে।’
সমর্থকদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
বিরোধী গোষ্ঠী তৈরি হওয়া নিয়ে মোহনবাগানের উদাহরণ দিয়ে দেবব্রত বললেন, ‘‘গোটা পৃথিবীতে সব ক্লাবেই পক্ষ-বিপক্ষ থাকে। মোহনবাগানেও তো আছে। কয়েক দিন আগে সিইএসসি-র সামনে প্রতিবাদ হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয় ময়দানে। আমাদের ক্লাবে ছিল না। তাই আমি ওঁদের কুর্নিশ করছি। একটা বিরোধী শক্তি ক্লাবে এলে কাজ আরও ভাল হবে।’’
ক্লাবের মধ্যেও অনেক সমর্থক ছিলেন। পুলিশের বক্তব্য, ক্লাবের ভিতরে বা বাইরে কোথাও কোভিডবিধি মানা হয়নি। এই নিয়ে দেবব্রত বললেন, ‘‘আমরা কোথাও কাউকে আসতে বলিনি। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের নেতৃত্বে আমরা ছিলাম না। যাঁরা কর্মসমিতিতে আছি, বা নিয়মিত ক্লাবে আসি, তাঁরাই এসেছিলাম। কিন্তু বহু উৎসাহী মানুষ, যাঁরা ক্লাবকে বাঁচাতে চান, তাঁরাও এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের নিয়ন্ত্রণ তো আমাদের হাতে থাকতে পারে না।’’