ফাইল ছবি
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বারবার অভিযোগ জানিয়ে আসছে তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের যে প্রাথমিক চুক্তি (টার্মশিট) হয়েছিল, তার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের (ডেফিনেটিভ ডকুমেন্ট) বিস্তর ফারাক। কোথায় কোথায় মূল ফারাক রয়েছে, তা ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হল। দুটি চুক্তিপত্রের মধ্যে ক্লাব মূলত তিনটি তফাতের কথা তুলে ধরেছে। শেয়ারহোল্ডিং, বোর্ড গঠন এবং বিচ্ছেদের পদ্ধতি নিয়ে ক্লাবের মূল আপত্তি।
ক্লাবের বক্তব্য, শেয়ারহোল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে টার্মশিটে বলা ছিল, নতুন সংস্থা তৈরি হলে সেখানে ক্লাবের অংশীদারিত্ব ২০ শতাংশের কম হবে না। কিন্তু চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, নতুন সংস্থায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অংশীদারিত্ব ১০ শতাংশতেও নেমে যেতে পারে।
বোর্ড গঠন নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অভিযোগ, প্রাথমিক চুক্তিতে বলা হয়েছিল শ্রী সিমেন্ট তাদের ৮ জনকে এবং ক্লাব ২ জনকে ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। কিন্তু চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, দরকার হলে ক্লাব নিযুক্ত ২ ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
বিচ্ছেদ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জানিয়েছে, প্রাথমিক চুক্তিতে ছিল, ক্লাবকে ৯০ দিনের নোটিস দিয়ে বিনিয়োগকারী বিচ্ছেদ করতে পারে। এর বেশি আর কিছু বলা ছিল না। কিন্তু ডেফিনেটিভ ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, বিচ্ছেদের পরে স্পোর্টিং স্বত্ব, ক্লাব তাঁবু, লোগো, ব্র্যান্ড ক্লাবকে ফেরৎ দেওয়া হবে না।
ক্লাবকর্তারা মনে করছেন, এর বাইরেও দুটি চুক্তিপত্রের মধ্যে অজস্র ফারাক রয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক চুক্তি তৈরির পর বিনিয়োগকারী সংস্থা চারবার ডেফিনেটিভ ডকুমেন্টে বদল করে ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯ অক্টোবর, ২ নভেম্বর এবং ২৪ মার্চ ক্লাবকে পাঠিয়েছে। কিন্তু কোনও বারই ক্লাবের মৌলিক অধিকারের বিষয়টিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কর্তাদের বক্তব্য একটাই, তাঁরা কিছুতেই ক্লাব বিক্রি হয়ে যেতে দেবেন না। বারবার তাঁরা আলোচনার জন্য বিনিয়োগকারী সংস্থাকে বলছেন। বিনিয়োগকারী সংস্থার বক্তব্য, আগে চুক্তিতে সই করতে হবে, তারপর আলোচনা।