গোল করেছেন মার্কোস। —ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গল ২ ট্রাউ ১
(মার্কোস, ক্রেসপি) (দীপক)
ডার্বির আগে স্বস্তির জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। ৮৯ মিনিটে লাল-হলুদ ডিফেন্ডার ক্রেসপির গোলে শনিবার কল্যাণী থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা ফিরছে লাল-হলুদ শিবির।
২২ তারিখ ডার্বি ম্যাচ। তার আগে আর কোনও ম্যাচ নেই আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজের দলের। ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে শনিবারের ম্যাচটা কঠিন করেই জিতল ইস্টবেঙ্গল।
আগের ম্যাচেই পাহাড়ে গিয়ে নেরোকাকে চার গোলে বিধ্বস্ত করেছিল লাল-হলুদ। ট্রাউ আবার আগের ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে চার-চারটি গোল হজম করেছিল। শনিবার ট্রাউয়ের ডাগ আউটে কোচের চেয়ারে ছিলেন না ডগলাস দ্য সিলভা। তাঁর অভাব বোধ করতে দেননি দলের সহকারী কোচ। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ট্রাউয়ের যে দলটা খেলেছিল, এ দিন সেই দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়।
খেলার ১৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে সেন্টার করেছিলেন সামাদ। স্পেনীয় স্ট্রাইকার মার্কোস হেডে বিষ ঢালেন। তাঁর গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, সেই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির। বিরতির ঠিক আগে দীপক দেবরানি সমতা ফেরান ট্রাউয়ের হয়ে।
ডার্বি ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের দুর্বলতা চোখে পড়ল দুর্বল ট্রাউয়ের বিরুদ্ধেও। এখনও পর্যন্ত আই লিগের প্রতিটি ম্যাচেই গোল হজম করতে হয়ে মেনেন্দেজের দলকে। ডার্বি ম্যাচের আগে ডিফেন্স নিয়ে নিশ্চয় আরও ভাবনাচিন্তা করবেন আলেয়ান্দ্রো। ইস্টবেঙ্গলকে জয়সূচক গোলটির জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হল ৮৯ মিনিট পর্যন্ত।
জটলার মধ্যে থেকে পা ছুঁইয়ে ইস্টবেঙ্গলকে জেতান মার্তি ক্রেসপি। মেনেন্দেজকেও স্বস্তি এনে দেন স্পেনীয় ডিফেন্ডার।