ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার চার্লস ডি’সুজা আজ রবিবার শহরে এসে পড়ছেন। ইউসা কাতসুমি আসবেন সামনের সপ্তাহে।
মোহনবাগানের দুই বিদেশি অস্ট্রেলিয়ার দিয়েগো ফেরিরা এবং ইউটা কিওনোয়াজিরও আসার কথা আজ-ই। সনি নর্দের আসার কথা অক্টোবরের মাঝামাঝি।
দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই আই লিগের প্রস্তুতির ঢাকে কাঠি পড়ে যাচ্ছে দুই প্রধানে। অক্টোবরের প্রথম পনেরোদিন ময়দান বন্ধ। মান্ধাতার আমলের সেনা বাহিনীর অদ্ভুত নিয়মে। তাই দুই প্রধানকে অনুশীলনের জন্য চলে যেতে হচ্ছে কলকাতার বাইরে। শঙ্করলাল চক্রবর্তী প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার ক্লাব তাঁবুতে শরীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নিয়ে পরদিন চলে যাবেন বারাসতে। আর খালিদ জামিল সরাসরি মঙ্গলবার নামবেন হাওড়া স্টেডিয়ামে।
দু’দলের আই লিগের প্রস্তুতি অবশ্য হবে অন্য ভাবনায়। মোহনবাগান গভর্নস গোল্ড কাপ খেলতে যাবে সিকিমে। সেখানে আনসুমানা ক্রোমারা সরাসরি খেলবেন কোয়ার্টার ফাইনালে। দিপান্দা ডিকা-সহ নতুন সব বিদেশিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহমেডান থেকে আসা শঙ্কর রায়, রানা ঘরামি, শেখ ফৈয়জদেরও। সবই করা হচ্ছে টিমের সংঘবদ্ধতা বাড়ানোর জন্য। সিকিমে ফাইনাল খেললে মোহনবাগান শহরে ফিরবে ১৬ অক্টোবর। তারপর একমাস প্রস্তুতি নিয়ে সনি, ক্রোমারা খেলতে নামবেন আই লিগ। ততদিনে অবশ্য সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরবেন চিফ কোচ সঞ্জয় সেন। তিনি নিজেই বললেন, ‘‘ডাক্তারের সঙ্গে যা কথা হয়েছে তাতে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে হয়তো মাঠে নামতে পারবো।’’
ইস্টবেঙ্গল অবশ্য কোনও টুনার্মেন্ট খেলতে যাচ্ছে না। অসমের নওগায় একটি টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু খালিদ জামিল তাতে রাজি হননি। তিনি চাইছেন আইএসএলের টিম গুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। আপাতত ঠিক আছে চেন্নাইয়ান এফ সি, জামসেদপুর এবং এটিকের সঙ্গে ম্যাচ খেলার। খালিদ কর্তাদের জানিয়েছেন, টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে কোনও ফুটবলার চোট পেয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে। বরং পাঁচ বিদেশিকে নিয়ে মাস দেড়েকের অনুশীলন করতে ছান তিনি। কলকাতা ডার্বিতে কার্লাইল মিচেল ডোবালেও তাঁকে রেখে দেওয়া হচ্ছে। খালিদ তাঁর উপর আস্থা রাখছেন।