নজরে: এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভরসা রবি ফাওলার। ফাইল চিত্র
গত ১৬ অক্টোবর থেকে তিনি গোয়ার টিম হোটেলে। কিন্তু নিভৃতবাস পর্ব চলায় এখনও শুরু করতে পারেননি অনুশীলন। দেখা হয়নি ফুটবলারদের সঙ্গেও। আইএসএলের রণনীতি তৈরির ফাঁকে বুধবার বিকেলে শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গলের কোচ রবি ফাওলার কথা বললেন আনন্দবাজারের সঙ্গে...
এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়া: আইএসএলে এই মরসুমে প্রথম খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ওরা নতুন কোচ খুঁজছিল। আমিও ফাঁকা ছিলাম। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি। লাল-হলুদ সমর্থকদের আবেগের ব্যাপারটা আমি জানি। সেটাও আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে সিদ্ধান্ত নিতে। আমি গর্বিত এ রকম একটা দলের প্রধান কোচ হওয়ার সুযোগ পেয়ে।
ব্যক্তিগত লক্ষ্য: কোচ হিসেবে আমার লক্ষ্য, ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অন্যান্য দলগুলির চেয়ে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি এই মুহূর্তে। তাই কাজটা অনেক বেশি কঠিন। আরও একটু সময় পেলে ভাল হত ঠিকই। কিন্তু কিছু করার নেই। যে কোনও মূল্যে আমাদের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।
আরও পড়ুন: ধোনি-পরীক্ষার মহড়ায় রাসেল
ডার্বি নিয়ে ভাবনা: আইএসএলে দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য এটিকে-মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ওদের নিয়ে ভাবতে চাই না। ডার্বির কী গুরুত্ব, তা আমি খুব ভাল করেই জানি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কেও আমি ওয়াকিবহাল। ডার্বির জন্য আমরা তৈরিই থাকব। তবে শুধু এটিকে-মোহনবাগান নয়, সব দলের বিরুদ্ধে খেলার জন্যই আমরা প্রস্তুত।
নেতা চাই: মাঠে নেমে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, এ রকম ফুটবলারকেই আমি সব সময় অগ্রাধিকার দিই। আমি মনে করি, ফুটবলারদের শুধু দক্ষতা থাকলেই হবে না, তাকে মানসিক ভাবে শক্তিশালীও হতে হবে। সে যেন লড়াই করতে ভয় না পায়। সব ধরনের রণনীতিতে মানিয়ে নিতে সক্ষম হতে হবে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দলের প্রত্যেককে সম্মান করবে। আমি মনে করি, শরীরের মতো দলের মেরুদণ্ডও দৃ়ঢ় হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: ওয়ার্নার-বার্তায় উদ্বুদ্ধ হন ঋদ্ধি
সুন্দর না কার্যকরী ফুটবল: আমার লক্ষ্য, সুন্দর ও কার্যকরী ফুটবল— দু’টোই খেলা। ট্যাকটিক্যালি নিজের দলকে অনেক বেশি সড়গড় এবং তীক্ষ্ণ করে তুলতে হবে। আমরা হয়তো ৪-৪-২ ছকে খেলাটা শুরু করলাম। তার পরে দেখা গেল, মাত্র এক জন ফুটবলার আক্রমণে উঠছে। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই ছক বদলে যাবে। তা ছাড়া আমি মনে করি না প্রতিপক্ষ যে রণনীতি নিয়ে খেলবে, আমাকেও তা অনুকরণ করতে হবে। আমাকে দলের গঠন এবং ফুটবলারদের ক্ষমতা অনুযায়ী রণকৌশল তৈরি করতে হবে। ফুটবলারেরা যে ছকে খেলাটা উপভোগ করবে, সেটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অবশ্যই প্রাধান্য দেব কার্যকরী ফুটবলে যা দেখতেও সুন্দর হবে।
ভারতীয় ফুটবলারেরা কেমন: আমার মতে শুধু ভারতীয় নয়, এশিয়ার ফুটবলারদেরই গুণগত মান খুব ভাল। কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব ওদের উন্নতি করতে সাহায্য করা। খেলার মধ্যে কখন ড্রিবল না করে সতীর্থকে পাস দিতে হবে, আবার কখন পাস না দিয়ে নিজের কাছে বল রাখতে হবে, এই ব্যাপারগুলো একটু শেখাতে হবে।
বেকহ্যামের সঙ্গে বন্ধুত্ব: ডেভিড বেকহ্যাম আমার ঘনিষ্ট বন্ধু। কিন্তু এই মুহূর্তে আমেরিকায় নিজের ক্লাব নিয়ে ও খুবই ব্যস্ত রয়েছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও আইএসএল দেখার জন্য ওকে আমন্ত্রণ জানাতে পারব না। আমি জানি ডেভিডের পক্ষে এখন ভারতে আসা সম্ভব নয়।