নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ভারতীয় দলের প্লেয়াররা।- নিজস্ব চিত্র।
২০১৫র মার্চ। ফিরে তাকালে খুঁজে পাওয়া যাবে না এই নামটি। ঠিক এক বছর পর জীবনটাই বদলে গেল। আর আজ তিনি বিশ্বকাপ দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য। তাঁর উপর অনেক ভরসা অধিনায়কের। বল হাতে দেশের হয়ে সাফল্য এনে দিয়েছেন। সেই হার্দিক পাণ্ডে সেটা ভেবেই উচ্ছ্বসিত। বলছেন, ‘‘স্বপ্ন সত্যি হল।’’ যে কোনও ক্রিকেটারের তো দেশের জার্সি পরে মাঠে নেমে নিজেকে প্রমাণ করার স্বপ্ন থাকে। তিনিও ব্যতিক্রম নন। তাই বিশ্বকাপ শুরুর মুখে দাঁড়িয়ে সেটা ভেবেই নিজেগে তৈরি করছেন হার্দিক। বলছেন, ‘‘স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। স্বপ্ন দেখি জ্যাক কালিস অফ ইন্ডিয়া হওয়ার।’’ হয়তো এই স্বপ্নটাই অনেক দূর নিয়ে যাবে নবাগত হার্দিককে।
আর অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে যিনি নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন নিজেকে? সেই হরভজন সিংহ নিজের সব অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিতে চান পুরো দলের সঙ্গে। একঝাঁক জুনিয়র মুখ রয়েছে দলে। ‘‘দলের সকলেই খুব ভাল। ওদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলে ওরা মন দিয়ে শোনে।’’ তাঁকে ঘিরে যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটাও বোঝেন ভাজ্জি। তাই নিজের সেরাটা দিতে চান সুযোগ পেলে।
এ দলের আরও এক সদস্য অজিঙ্ক রাহানে কিন্তু নিয়মিত দলে জায়গা না পেয়ে হতাশ নন। বরং নিজের কাজটি করে যেতে চান তিনি। তাই হয়তো সব সময় নিজেকে প্রস্তুত করে চলেছেন। ‘‘দলে থাকা না থাকাটা বড় কথা নয়। আসল কথা আমি নিজেকে তৈরি রাখছি কি না। মাঠের বাইরে বসে থাকার সময়ও আমি মনে মনে কাজ করে যাই। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে রোহিতের ইনিংস দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল এই খেলাটা আমি যদি খেলতে পারি। বাকিদের দেখে মাঠের বাইরে বসে প্রতিদিন শিখি। আমাকে যদি মাঠে জল বয়েও নিয়ে যেতে হয় তাহলেও সেটা দেশের জন্য গর্বের সঙ্গেই করব।’’
আরও খবর
আমির নিয়ে এত কথা কেন, বুমরাহকে নিয়ে বলুন
অধিনায়ক হিসেবে আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছে দল, বললেন ধোনি