বুধবার জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার ম্যাচে নতুন চেহারার লিয়োনেল মেসিকে দেখা গেল। গোঁফ, দাড়ি কামানো মেসি।
বহুবার নিজের স্টাইল বদলেছেন মেসি। ২০০৫-এর ডিসেম্বরে ‘বয় নেক্সট ডোর’ স্টাইলে এলএম ১০। লম্বা চুল।
২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে চুলের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যায়। ঘাড়, কাঁধ ছাড়িয়ে যায় চুল।
২০০৭-এর জুন। মেসির মাথায় হেয়ারব্যান্ড। ডেভিড বেকহ্যাম এ রকম হেয়ারব্যান্ড লাগিয়ে খেলেছেন একটা সময়ে।
২০০৮ সালে মেসি আর্জেন্টিনাকে অলিম্পিক সোনা এনে দেন। সে বার মেসির চুলের স্টাইলে তাঁকে সাতের দশকের রকস্টারদের মতো দেখাত।
২০০৯ সালের জানুয়ারি। ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার গালায় নতুন অবতারের মেসিকে দেখা যায়। চুল অনেকটাই ছোট করে ছাঁটা।
২০০৯-এর আগস্ট। আবার লম্বা চুল ঘাড় পর্যন্ত নামানো। ফলে মেসির মাথায় হেয়ারব্যান্ডের প্রত্যাবর্তন।
২০১১ অগস্ট। অনেকেই বলেন, যতই লম্বা চুল রেখে মেসি নিজেকে স্টাইল আইকন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করুন, এই প্রথম ‘স্মার্ট’ মেসির আবির্ভাব হয়। একেবারে ছোট করে ছাঁটা চুল।
২০১৩ জানুয়ারি। আবার ব্যালন ডি’অর। আবার পার্টি। আবার নতুন মেসি। হাল্কা গোঁফ, আবছা দাড়ি। অনেকেই বলেন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে সেবারই প্রথম চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন মেসি।
২০১৪ এপ্রিল। এর থেকে সহজ, সরল অথচ আকর্ষণীয় চুলের স্টাইল মেসির জন্য আর হয় না।
২০১৪ অগস্ট। অনেকেই পছন্দ করেননি মেসির এই চুলের স্টাইল। মাথার অর্ধেক পর্যন্ত, কানের অনেকটা ওপরে চুল শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাকিটা পুরোটাই কামানো।
২০১৫ নভেম্বর। আগের থেকে চুলের দৈর্ঘ্য আরেকটু বেশি। সামনে কপাল পর্যন্ত লক্স।
মার্চ ২০১৬। অনেকটা ব্যাকব্রাশ করা চুল। দু’দিকে কানের ওপর পর্যন্ত খানিকটা অংশ ফাঁকা।
২০১৬ জুলাই। পুরোপুরি সাদা চুল মেসির। সঙ্গে দাড়ি। তবে দাড়ি ডাই করেননি। দাড়ির রঙ সোনালি। বেশিরভাগ মেসিভক্তই পছন্দ করেননি।
২০১৬ অক্টোবর। সোনালি ও সাদা চুলের মিশ্রণ। দাড়ি আগের মতোই সোনালি রঙের। ভক্তদের বক্তব্য আগের থেকে ভাল।
২০১৭ জানুয়ারি। আবার সেই পুরনো কালো চুল। সোনালি দাড়ি আগের তুলনায় একটু লম্বা।
২০১৭ সেপ্টেম্বর। চুল, দাড়ির রঙ আবার একই। তবে সামনের দিকের চুল অনেকটাই খাড়া।
২০১৮ জুন। সামনে এবং মাঝখানে অনেকটা চুল। দুপাশে তুলনায় কম। দাড়ি অনেক বেশি স্পষ্ট।
জুন ২০২০। আবার দাড়ি, গোঁফ কামানো। চুল অনেকটাই পাতা, লম্বা। কানের প্রায় অর্ধেক ঢাকা।
সবশেষে গত বুধবারের নতুন চেহারা। এরপর আবার কতদিন পর মেসি ভোল বদলান, সেটা দেখার জন্য বসে আছেন তাঁর ভক্তরা।