মারাদোনাকে নিয়ে বিতর্ক চলছেই। —ফাইল চিত্র
দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর পরে পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। মৃত্যুর আগে যেমন বহু বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছিল তাঁর নাম, তেমনই মৃত্যুর পরও পিছু ছাড়ছে না সেই বিতর্ক। একাধিক যৌন সম্পর্কে মারাদোনার নাম শোনা গিয়েছিল। ব্রিটেনের ‘দ্য সান’ পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মারাদোনার এজেন্টে গুইলেরমো কপোলার বাড়িতে একাধিকবার বিভিন্ন যৌনকর্মীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন ফুটবল কিংবদন্তি। তিনি জানতেন না ঘরে দু’দিক দিয়ে দেখা যায়, এমন কাচ লাগিয়েছিলেন কপোলা।
কাচের পিছনে শুধু যে একা কপোলা বসে মারাদোনার সেই সঙ্গম দেখতেন এমন নয়। বন্ধুদেরও ডেকে দেখাতেন সেই ‘শো’। লেখক ন্যান্সি ডুরে, যিনি কপোলার পূর্ব পরিচিত, তাঁর দাবি কপোলা তাঁকে সেই গোপন ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে বসে মারাদোনার কাণ্ড দেখতেন তাঁরা। ন্যান্সি বলেন, “অপূর্ব সুন্দর বাড়ি কপোলার। লেখার জন্য আমি সেখানে গিয়েছিলাম। কপোলার বসার ঘরে একটা বিশাল সোফা রয়েছে, যার পিছনে আয়না লাগানো। উল্টো দিকে একটি কাচ লাগানো। ওই কাচটি থেকে আসলে দু’দিক দিয়েই দেখা যায়।”
ন্যান্সি জানিয়েছেন, মারাদোনা কখন নতুন কাউকে নিয়ে আসছেন সেই খবরও থাকত কপোলার বন্ধুদের কাছে। মারাদোনার সঙ্গে কেউ সরাসরি যোগাযোগ করতে পারতেন না বলে জানিয়েছেন ন্যান্সি। তাঁর কথা অনুযায়ী, কপোলার বন্ধুদের মাধ্যমেই যোগাযোগ হতো।
যে সময়ের কথা ন্যান্সি বলেছেন, সেই সময় মারাদোনার স্ত্রী ছিলেন ক্লদিয়া ভিলাফেন। তাঁকে লুকিয়েই চলতো এই কীর্তি। মারাদোনার সম্পত্তির ওপর দাবি জানিয়েছেন তিনিও। ক্লদিয়া ছাড়াও মারাদোনার ৫ বোন এবং একাধিক ছেলেমেয়েরাও সম্পত্তির দাবি জানিয়েছেন।