মারাদোনার প্রয়াত হন গত ২৫ নভেম্বর। ফাইল ছবি
যত দিন যাচ্ছে, দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যু তদন্ত নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। এবার জানা গেল, কিংবদন্তি ফুটবলারের বিয়ারে রাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো হত যাতে তিনি ঘুম থেকে উঠে না বিরক্ত করতে পারেন। নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে সকালে মদ্যপান করতে দেওয়া হত।
আর্জেন্তিনার তদন্তকারীদের সামনে এই বক্তব্য রেখেছেন মনোবিদ গ্রিসেলদা মোরেল। বলেছেন, “উনি সকালে উঠে বিয়ার চাইলে সেটা ওকে দেওয়া হত। ওঁর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা একজন ঘুমের ওষুধ বিয়ারে মিশিয়ে দিত যাতে উনি রাতে উঠে জ্বালাতন করতে না পারেন।”
জানা গিয়েছে, ডাক্তাররা বারণ করা সত্ত্বেও বিয়ার এবং ওয়াইন খেতে দেওয়া হত মারাদোনাকে। তাঁর মানসিক অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় ছিল। মোরেল জানিয়েছেন, মারাদোনার হাতে ফোন না থাকা সত্ত্বেও একদিন তাঁকে ফোনে কথা বলতে দেখেছেন।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর মারাদোনার ছেলে দিয়েগুইতোকে নিয়ে একদিন বুয়েনোস আইরেসের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন মোরেল। বলেছেন, “শেষ বার দেখা হওয়ার পর দিয়েগো আমাকে অভিযোগ করেছিল যে বাথরুম উপরে হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে ওঁর। ওঁকে নাকি হোস পাইপ দিয়ে স্নান করানো হচ্ছে। আরও বলেছিল, ওর থেকে টাকা চুরি করায় এক নার্সকে নাকি তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
বাথরুম উপরে থাকার ব্যাপার জানতে পেরেছিলেন মারাদোনার মেয়ে। এরপরেই নিচের তলার একটি ঘরকে সাময়িক ভাবে বাথরুম বানানো হয়।
তদন্তের কারণেই মোরেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শেষ দিকে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা জানতে মারাদোনার দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মারাদোনার মৃত্যুর পরেই তাঁর বান্ধবী রোসিও অলিভা অভিযোগ করেছিলেন, মারাদোনা নিয়মিত মদ্যপান করেন।