মারাদোনার মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়। ফাইল ছবি
দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যু রহস্য ঘিরে নয়া মোড়। প্রকাশ পেল তাঁর চিকিৎসক এবং মনোবিদের মধ্যে কথোপকথন, যেখানে মারাদোনাকে ‘মোটা মানুষ’ বলে বর্ণনা করেছেন চিকিৎসক। এই কথোপকথন ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পরিবার। ওই চিকিৎসকের বিচার এবং কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছেন মারাদোনার মেয়ে ডালমা।
মারাদোনার মৃত্যুর পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন তাঁর চিকিৎসক লিয়োপোল্ডো লিউক। তাঁর সঙ্গে মনোবিদ অগাস্তিনা কোসাচভের বার্তা চালাচালি শুনে ডালমার বমি করার খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। ঠিক কী কথা হয়েছিল তা প্রকাশ করেছে আর্জেন্তিনার এক সংবাদমাধ্যম।
হাসপাতাল থেকে ফেরার পর বুয়েনোস আইরেসের অদূরে এক বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন মারাদোনা। বার্তা আদান প্রদানের দিন মারাদোনার সঙ্গেই ছিলেন কোসাচভ। লিউক মারাদোনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছিলেন। কোসাচভকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা ঘরে ঢোকার সময় মারাদোনার শরীর ছিল ভীষণ ঠান্ডা। আমরা শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি এবং কিছুক্ষণ পর ওঁর (মারাদোনার) শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে। ১০ মিনিট পর অ্যাম্বুল্যান্স আসে।” সংবাদমাধ্যেমের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্স দেরি করে আসার যে অভিযোগ খাড়া করা হচ্ছিল, তা তাহলে সত্যি।
জানা গিয়েছে, টিভিতে মারাদোনার মৃত্যুর খবর দেখানোর ছবি লিউককে পাঠিয়েছিলেন তাঁর এক বন্ধু। সেখানেই লিউক লিখেছেন, “হ্যাঁ, মনে হচ্ছে মোটা মানুষটা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। ও নিজেই নিজেকে হত্যা করল। জানি না ঠিক কী করেছে। আমি গিয়ে দেখছি।”
লিউকের মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বড় মেয়ে ডালমা। তাঁর আঙুল আইনজীবী মাতিয়াস মোরলার দিকেও। ডালমা বলেছেন, “অডিয়ো বার্তাগুলো শুনে বমি করে ফেলেছিলাম। ভগবানের কাছে এর বিচার চাইছি।” ডালমার বোন জিয়ানিনা বলেছেন, “যদি সত্য উদঘাটন হয়, তাহলে প্রত্যেককে যেন জেলে পাঠানো হয়।”